শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সামান্য ভুলে কিংবা মুহূর্তের অসতর্কতার কারণে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আর একটি দুর্ঘটনা একজনের সারা জীবনের কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের দৈনদ্দিন জীবনে আমরা সচরাচর যেসব ভুল করে থাকি। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরছি-
চার্জে লাগিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলা: মোবাইল ফোন চার্জে বসিয়ে কথা বলার সময় মোবাইল ফোন গরম হয়ে মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এতে শরীর পুড়ে যেতে পারে ও মৃত্যুও হতে পারে। মোবাইলের হেডফোন কানে দিয়ে ঘুমালেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি ভারতে রাতের বেলায় কানে হেডফোন থাকাবস্থায় মোবাইল ফোন বিস্ফোরিত হয়ে এক মেয়ে মারা গেছে।
ছাদের রেলিংয়ে বসে আড্ডা: আমরা বাসার ছাদের রেলিং বসে আমরা অনেকেই আড্ডা দেই, আড্ডা মধ্যে কখনো কথা বলতে বলতে আবেগতাড়িত হয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারি, আর ছাদ থেকে পড়ে গেলে মৃত্যুও হতে পারে।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা: আমরা গাড়ি বা মোটর সাইকেল চালানোর সময় মোবাইল ফোনে অনেক কথা বলি, অথচ মোবাইল ফোনে কথা বলতে যেয়ে ব্রেক হারিয়ে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্বক দুর্ঘটনা। যার পরিণতি মৃত্যু।
গাড়ির বাইরে মাথা দিয়ে ছবি তুলা: আমরা মোবাইলে সুন্দর সেলফি তোলার জন্য অনেকেই গাড়ির বাইরে মাথা দিয়ে ছবি তুলি, এ সময় কোনো একটা দ্রুতগতির গাড়ি যদি এসে ধাক্কা দেয় তাহলে হতাহত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই, কিংবা অনেক বড় পাহাড় উচু, বিপদজনক জায়গা, কিংবা সাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।
যানবাহনে বসে বাইরে হাত রাখা: বাসে কিংবা ট্রেনে বসে আমরা অনেকে হাতের অংশ জানালার বাইরে রাখি, কিংবা ট্রেনের দরজার সামনে, জানালার বাইরে অনেকেই অসাবধানতাবশত হাত রাখি, এর ফলেও যে কোনো সময় বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
ভেজা হাতে ঘরের ইলেকট্রনিক সুইচ ধরা: আমরা ঘরের ইলেকট্রনিক সুইচ অনেকে ভেজা হাতে ধরে থাকি। ঘরের ইলেকট্রনিক সুইচ ধরার সময় আমাদের সাবধান থাকা উচিত, হাতে রুমাল বা কাপড় দিয়ে ইলেকট্রনিক সুইচ বন্ধ করা উত্তম, না হলে যে কোনো সময় আমরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারি।
রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা: আমরা অনেকেই রাস্তা পার হবার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলি, এভাবে রাস্তা পার হতে গিয়ে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
রেললাইন পার হওয়ার সময় কানে হেডফোনে দিয়ে গান শুনা: রেললাইন পার হওয়ার সময় আমরা কানে হেডফোনে দিয়ে অনেকে গান শুনি বা কথা বলি, রেললাইন পার হওয়ার সময় যে কোনো মুহূর্তে ট্রেন এ কাটা পরে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
লাফিয়ে বাসে উঠা: আমরা অনেক সময় বাঁচাতে যেয়ে বাসের ভেতর যেখানে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না এক বা দুইজন দাড়িয়ে আছে, সেই অবস্থায়ও আমরা লাফিয়ে উঠার চেষ্টা করি, যার ফলশ্রুতিতে অনেক সময় আমরা রাস্তায় পড়ে যাই। এভাবে ওঠতে গিয়ে বাসচাপায় মর্মান্তিক মৃত্যুও হতে পারে।
বাস থেকে নামার সময় তাড়াহুড়া করা: বাস থেকে নামার সময়ও আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়া করি যার কারণে আমরা ভারসাম্য ধরে না রেখে অনেকে নেমে পড়ি, এমন অবস্থায় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
দুই বাসের মাঝখান দিয়ে বাসে ওঠার চেষ্টা: দুই বাসের মধ্যে দিয়ে আমরা অনেকেই বাসে ওঠার চেষ্টা করি, এর ফলে যে কোনো সময় বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে কিংবা দুই বাসের প্রতিযোগিতায় পিষ্ট হয়ে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।