শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
আলোকচিত্রী শহীদুল আলমকে মুক্ত করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী। বলেছেন, কাউকে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির এই এমপি শহীদুলের আটককে গভীর উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, তাকে দ্রুততম সময়ে মুক্তি দেয়া উচিত।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে গত ৩০ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনর চলাকালে শহীদুল ফেসবুক লাইভে এসে নানা কথা বলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার দেন। তিনি এই আন্দোলনকে নিরাপদ সড়কের পাশাপাশি আরও বৃহৎ পরিসরে বর্ণনা করেন।
শহীদুলের দাবি, বর্তমান সরকার দেশে সুশাসন দিতে পারছে না এবং এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই এই আন্দোলন। সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
শহীদুল সেদিন এসব কথা বলেন যেদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্র হত্যা এবং ধর্ষণের গুজব বেশ পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয়েছিল।
ফেসবুক লাইভে এসে বা সামাজিক মাধ্যমে নানা অডিও ও ভিডিও তৈরি করে এই গুজব ছড়িয়ে হামলাও হয় ওই কার্যালয়ে। আর একই দিন শহীদুলের নানা তৎপরতায় সন্দেহে পড়েন শহিদুল। তাকে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় ৫ আগস্ট। পরে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এই আলোকচিত্রীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে দেশের পাশাপাশি আলোচনা ছড়িয়েছে দেশের বাইরেও। বেশ কয়েকজন নোবেল বিজয়ী তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন যাদের মধ্যে আছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও।
সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব বিবৃতির জবাব দিয়েছেন এই বলে যে, প্রকৃত সত্য জানা না থাকায় অমর্ত্য সেন এই আহ্বান জানিয়েছেন। ভেতরের কাহিনি জানলে তিনি এই আহ্বান জানাতেন না।
টিউলিপ সিদ্দিকী বলেন,’বাংলাদেশকে তার নিজের নাগরিকদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। আশা করি আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছে এ ব্যাপারে দৃঢ় বার্তা পাঠাবে।’
টিউলিপ প্রধানমন্ত্রীর স্বজন হিসেবে তার এই বক্তব্য যুক্তরাজ্যেও আলোচনা তৈরি করেছে। তবে আওয়ামী লীগের সেখানকার নেতারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে জানাচ্ছে দ্য টাইমস।