সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান অনুমোদন: পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান অনুমোদন: পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

আমার সুরমা ডটকম:

পরিকল্পিত অর্থনীতির সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। বেড়েছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়। মূল্যস্ফীতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। একই সঙ্গে সামাজিক খাতেও অগ্রগতি ব্যাপক। কিন্তু এত সব অর্জন টেকসই হবে কিনা- তা নিয়ে নানান প্রশ্নও রয়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তনের সেই প্রভাবকে মোকাবেলা করে দেশকে কিভাবে উন্নয়নের সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ‘ বা ‘ডেল্টা প্ল্যান’।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জলবায়ু সংকট উত্তরণে ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান সুন্দরবনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পাশ হয় শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান। সোয়া ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন অঞ্চলে ঘসিয়াখালী চ্যানেলসহ অন্যান্য চ্যানেলে নিয়মিত ড্রেজিং করার পাশাপাশি সুন্দরবন রক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপের প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায়। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যয় হবে ৩ হাজার ৭শ’ কোটি ডলার।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এর অনুমোদন দেয়া হয়। এনইসি বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম খোকন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মফিজুল ইসলামসহ অন্যরা।
সুত্র মতে, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল। একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত, কারিগরি ও আর্থসামাজিক দলিল এই পরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এর আগ্রহ, ইচ্ছা ও নির্দেশে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের পক্ষ থেকে এই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাঙ্খিত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার এই পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলাসহ ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাংলাদেশের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে।
জিইডি’র তৈরি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ প্রথম ধাপে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়বে দেড় শতাংশ। এই পরিকল্পনার আওতায় যেসব প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে, তাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় গতকালের বৈঠকে। একই সঙ্গে নেদারল্যান্ডের আদলে বাস্তবায়ন হবে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর কন্যা ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সুযোগ পেলে নেদারল্যান্ড ঘুরে এসো। কারণ আমাদের মতোই নদীর দেশ নেদারল্যান্ডস। পরবর্তীতে তিনি অনেকবার নেদারল্যান্ড ঘুরেছেন। সেখানকার পানি ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা তাকে আকৃষ্ট করেছে। তারই নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ২০১৮-২০৩০ সাল পর্যন্ত মোট ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। এই টাকা আসবে সরকারি, বেসরকারি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং জলবায়ু তহবিলসহ বিভিন্ন ভাবে। এজন্য গঠন করা হবে একটি ডেল্টা তহবিল। তাছাড়া ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে গঠন করা হবে ডেল্টা নলেজ ব্যাংক।
মন্ত্রী জানান, দেশের পানি সম্পদ নিয়ে একশ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার খসড়া তৈরিতে সহায়তা দিয়েছে নেদারল্যান্ড। পরিকল্পনা তৈরির জন্য ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে দেশটি। ২০১৪ সালে প্রকল্পটি সাজানোর কাজ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছরে পরিকল্পনাটির অনুমোদন পেল। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৮৮ কোটি টাকা। নেদারল্যান্ডের বাইরে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় করা হয়েছে।
ডেল্টা তহবিল গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ প্রয়োজন হবে দুই লাখ ৯৭ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। এ জন্য জিডিপির দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ সমপরিমান অর্থায়ন সম্বলিত বাংলাদেশ ডেল্টা তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যার মধ্যে দুই শতাংশ নতুন বিনিয়োগ এবং শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় করা হবে। জিডিপির দুই দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ সরকারি তহবিল হতে এবং শতকরা ২০ ভাগ বেসরকারি খাত থেকে আসবে। আরও বলা হয়েছে, অর্থায়নের ক্ষেত্রে কস্ট রিকভারির জন্য বেনিফিশিয়ারি পে প্রিন্সিপাল অনুসরণ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বড় শহরগুলোতে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় আদায়ের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা কার্যকর করার চেষ্টা করা হবে এবং তা পর্যায়ক্রমে সময়ের আবর্তনে অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম ধাপে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি নয় শতাংশে নেওয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, উন্নত দেশের পথে হাঁটতে হলে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। এছাড়া প্রকল্পটির মূল প্রতিপাদ্য জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এরই মধ্যে ভূমিতে ক্ষয় হচ্ছে ব্যাপক। নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার পরিবার গৃহহীন হচ্ছে। বন্যায় অনেক ফসলহানি হচ্ছে। এর বাইরেও বিশেষ করে শহর অঞ্চলে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, কঠিন বর্জ্য ও আবর্জনা ব্যবস্থপনা, কৃষি জমিতে ব্যাপক রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি উৎপাদক শক্তি না কমিয়ে কিভাবে এসব বিষয় যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা যেতে পারে- বাংলাদেশের ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় এসব বিষয়ের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া দেশে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় এই খাতে বিশেষ নজর দিয়ে ‘পূর্ব সতর্কীকরণ’ এর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এনইসি সভায় উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে জিইডি সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, পদ্মা এবং মেঘনা নদীর মাথাভাঙ্গা থেকে জলঙ্গী পর্যন্ত নদীর ডান তীরে বহুমাত্রিক বন্যা বাঁধ নির্মাণের সুযোগ রয়েছে। সরকার চাইলে এ বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া সমুদ্র হতে নদী পুনরুদ্ধারে নোয়াখালীর উরিরচর এলাকায় ক্রস ড্যাম নির্মাণ শেষ করার তাগিদ দেন তিনি।
ড. শামসুল আলম বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগ সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে পরিকল্পনায়। এগুলো হচ্ছে- উপক‚লীয় অঞ্চলে ২৩টি প্রকল্পের জন্য ৮৮ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। বরেন্দ্র এবং খড়া প্রবণ অঞ্চলের জন্য নয়টি প্রকল্পের আওতায় ১৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। হাওড় এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য ছয়টি প্রকল্পের আওতায় দুই হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য আট প্রকল্পের অনুকুলে পাঁচ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। নদী এবং মোহনা অঞ্চলে ৭টি প্রকল্পের অনুকুলে ৪৮ হাজার ২৬১ কোটি টাকা এবং নগরাঞ্চলের জন্য ১২টি প্রকল্পের অনুকুলে ৬৭ হাজার ১৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রাক্কলন করা হয়েছে।
ড. শামসুল আলম বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে তিন ধাপে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। এটি দেশের জন্য একটি বিরাট বিষয় হবে। প্রথম ধাপকে ২০৩০ সাল, দ্বিতীয় ধাপ ২০৫০ এবং তৃতীয় ধাৎ ২১০০ পর্যন্ত।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা একটি দীর্ঘমেয়াদি দলিল। ২১০০ সাল নাগাদ দেশের পানি ব্যবস্থাপনা কি হবে তা দেখতেই এ পরিকল্পনা। যা বাংলাদেশে প্রথম। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডস এই ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার নতুন ভূমি পেয়েছে। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, পানিকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে কৃষিতে আমরা পিছিয়ে থাকব না। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারব।
ঝুঁকি বিবেচনায় সারা দেশে ছয়টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়। এগুলো হলো-উপক‚লীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব হটস্পটে ৩৩ ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় হটস্পটগুলোর সমস্যা সমাধানে বেশকিছু কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বন্যার ঝুঁকি কমাতে নদী ও পানিপ্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রাখা; পানিপ্রবাহের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নদীগুলোকে স্থিতিশীল রাখা। পরিকল্পনায় আরো বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ও মানসম্মত স্বাদু পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নদীগুলোর পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা; নদীগুলোতে নিরাপদ নৌপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড় হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকায় পানির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে টেকসই জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে এই পরিকল্পনা নিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গণভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেলটা প্ল্যান ২১০০ এর মাধ্যমে ১০০ বছরে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, ব-দ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এই প্ল্যান। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেলটা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন হাতে নেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com