সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটের বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে। রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ৭৩৭ বোয়িং সুপরিসর বিমানটি অবতরণ করে। বিমানটি জিম্মি করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবতরণের পর পৌনে ৬টা নাগাদ বিমানের ভেতরে দুইটি গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানান বিমানবন্দরের কর্মীরা জানিয়েছেন। বিমানটিতে অন্তত একজন অস্ত্রধারী থাকার বিষয়টিও শোনা যাচ্ছে। ওই অস্ত্রধারী পাইলটকে অস্ত্র তাক করে আছেন বলেও বলা হচ্ছে। এ ঘটনার পর হেলিকপ্টারযোগে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দরে ছুটে যান। বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। বিমানটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আবুধাবি যাওয়ার কথা ছিল।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পরপরই জরুরি অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। বিমানে সন্দেহভাজন অন্তত একজন অস্ত্রধারী রয়েছেন বলে বলা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটি ছিনতাই করার চেষ্টা ছিল। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দর সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক সূত্র বলছে, বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই এ ঘটনা ঘটে। এরপরই দ্রুত ফ্লাইটের সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। রানওয়েতে অবস্থান করছে এবং সেটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই সন্দেহভাজনকে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। বিমানের চারপাশে সেনাবাহিনীসহ র্যাব-পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
বিমানটির যাত্রী ছিলেন চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিমানের সব যাত্রীকে নামিয়ে আনা হয়েছে। দুইজন ক্রু ভেতরে রয়েছেন। ভেতরে দু’টি গুলির শব্দ শোনা গেছে। তিনি বলেন, বিমানে সন্দেহভাজন কমপক্ষে একজনকে দেখা গেছে। তার হাতে পিস্তল ছিল, সে গুলি করে। তবে পাইলট ও যাত্রীরা নিরাপদে রয়েছেন।
ওই অস্ত্রধারীকে আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা। ওই ব্যক্তি বিদেশী বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে বিমানবন্দরমুখী সকল যানবাহন বন্ধ রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়েছে। বাইরে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণের পর তাতে আটকা পড়েছেন দু’জন কেবিন ক্রু। উড়োজাহাজটি থেকে যাত্রীসহ সবাই বেরিয়ে যেতে পারলেও তারা দু’জন এখনও বের হতে পারেননি। এর আগেই অস্ত্র তাক করা অবস্থায় জিম্মি হয়ে পড়েন পাইলট ও কো-পাইলট।
রোববার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হক। তিনি বলেন, উড়োজাহাজটি অবতরণের পর এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেটিকে ঘিরে রেখেছে। ভেতরে দু’জন কেবিন ক্রু রয়েছেন। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে এখনও কোনো খবর আমরা পাইনি।
এর আগে সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে উড্ডয়নের পরপরই জরুরি অবতরণ করে। সন্ত্রাসীর কবলে পড়েই এই দ্রুত অবতরণ বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্র।
ওই সূত্র জানিয়েছে, উড়োজাহাজের ভেতরে অন্তত একজন যাত্রীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তিনি বিদেশি কেউ একজন বলে এক যাত্রীর বরাতে জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্র। আরও জানা গেছে, ভেতরে একটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। কেউ একজন তাতে আহত হতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
রানওয়েতে উড়োজাহাজটিকে ঘিরে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন সদস্যরা রয়েছেন সেখানে। বাইরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৪৭ জন।
বাংলাদেশ বিমানের নতুন উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খীকে ছিনতাই করার চেষ্টায় জড়িত অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২ কেবিন ক্রুকে। কমান্ডো অভিযান শুরুর প্রস্তুতির মধ্যেই বিমান থেকে নেমে আসতে রাজি হন ওই অস্ত্রধারী। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা তার সাথে যোগাযোগ করে তাকে নেমে আসতে বলেন। এরপর তাকে আটক করা হয়। আর এরমধ্য দিয়েই টানা ২ ঘণ্টার জিম্মি দশার অবসান হলো। আটক অস্ত্রধারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাইয় চেষ্টা নাটকের অবসান হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে নয়টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রথমে ওই যুবককে আত্মসমার্পণের আহ্বান জানায় কমান্ডো বাহিনী। এতে সে সাড়া দেয়নি। বরং সে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এরপর স্বাভাবিকভাবেই অ্যাকশনে যায় কমান্ডোরা। এতে সে প্রথমে আহত হয় এবং পরে তার মৃত্যু হয়। তার নাম মাহদী বলে জানানো হয়েছে।