শুক্রবার, ০৪ Jul ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর হত্যার হুমকির শিকার শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য, থানায় জিডি দিরাই-শাল্লার উন্নয়নে ড. শোয়াইব আহমদকে জয়যুক্ত করতে হবে: মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী
৪০ বছরে হজ করতে গিয়ে যত প্রাণহানি

৪০ বছরে হজ করতে গিয়ে যত প্রাণহানি

000_97750আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : সৌদিআরবের মিনায় হজের শেষ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় বড় জামারাকে (বড় শয়তান) লক্ষ্য করে কঙ্কর মারাতে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারের এ মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় নয় শতাধিক হাজী। এবার ২০ লাখের মতো মুসলমান হজ পালন করছেন। এর আগেও হজ পালন করতে গিয়ে নানা সময়ে পদদলিত হয়ে হাজিরা মৃত্যুবরণ করেন। সৌদি সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে সংবাদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপি, আল জাজিরা ও সৌদি গেজেট।
ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে গত ৪০ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় চার হাজারের মতো। বিভিন্ন সময় পদদলিত, সড়ক দুর্ঘটনা, বোমা বিস্ফোরণ, শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ, ভবন ধস, অগ্নিকা- এবং সর্বশেষ ক্রেন ভেঙে পড়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটে।
১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে মিনার তাবুতে আগুন লাগে। এতে নিহত হয় কমপক্ষে ২০০ হাজী। তবে এ ঘটনার ১১ বছর পর ১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই মক্কায় সৌদি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে শিয়াদের সংঘর্ষে ৪০২ জন হাজি নিহত হন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইরানি। এ ঘটনায় আহত হন আরও ৬৪৯ জন।
১৯৮৯ সালের ৯ জুলাই মক্কায় দুইটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হন এক হাজী এবং আহত হন আরও ১৬ জন।
১৯৯০ সালের ২ জুলাই মক্কায় মারা যান ১৪২৬ জন হাজী। তাদের বেশির ভাগই ছিলেন মালয়েশীয়, ইন্দোনেশীয় ও পাকিস্তানি। সুড়ঙ্গ পথে পদপিষ্ট হয়ে এই বিপুল মানুষের মৃত্যু হয়। হজ ট্র্যাজেডিগুলোর মধ্যে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা।
১৯৯৪ সালের ২৩ মে মক্কার আল-জামারাতে পদদলিত হয়ে ২৭০ জন হাজি মারা যান। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইন্দোনেশীয়।
১৯৯৭ সালের ১৫ এপ্রিল মিনায় তাবুতে আগুন লেগে পুড়ে মারা যান ৩৪৩ জন। এ ঘটনায় আহত হন আরও প্রায় ১৫০০ মানুষ। গ্যাসের চুলা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে পরবর্তীতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়।
১৯৯৮ সালের ৯ এপ্রিল মক্কার আল-জামারাতে শয়তানকে পাথর মারতে যাওয়ার সময় একটি ব্রিজের কাছে পদদলিত হয়ে ১৮০ জন হাজির মৃত্যু হয়।
এরপর ২০০১ সালের ৫ মার্চ ওই আল-জামারাতে শয়তানকে পাথর মারতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৩৫ জন হাজী মারা যান।
২০০৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে ওই একই জায়গায় শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার সময় পদদলিত হয়ে মারা যান ২৪৪ জন হাজী।
২০০৬ সালে মক্কায় বহুতল আল-গাজা হোটেল ধসে ৭৬ জন নিহত হন এবং আহত হন আরও ৬৪ জন। একই বছর আল-জামারাতে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান আরও ৩৪৫ জন। সব মিলিয়ে ওই বছর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৪২১ হাজী।
তবে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর হজ শুরুর ১০ দিন আগে মক্কার প্রধান মসজিদের (মসজিদ আল-হারাম) নির্মাণ কাজের ক্রেন ভেঙে পড়ে কমপক্ষে ১০৭ জন হাজির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১৮৮ জন।
আর সবশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর মিনায় ঘটলো আরেকটি দুর্ঘটনা। এতে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭১৭ জন, আরও অন্তত ৮৬৩ জন আহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com