শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
আষাঢ়ের অঝোর ধারার বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রধান নদ-নদীর পানিও দ্রুত বাড়ছে। সিলেটে নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বন্যার আতঙ্ক।
কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা সদর, পাড়ুয়া ও ভোলাগঞ্জ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। গত চার দিনের টানা বৃষ্টি ও সারী এবং পিয়াইন নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার সর্বত্র তলিয়ে গেছে। শুক্রবার বিকেল থেকে উপজেলার সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে গিয়ে জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া বন্যার কারণে দেশের বৃহত্তম বিছনাকান্দি ও জাফলং পাথর কোয়ারী দুটি বন্ধ থাকায় লক্ষাধিক শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছেন।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ কুশিয়ারা নদীর পানি ছুই ছুই করছে বিপদসীমার। আজ ২৮শে জুন দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল ৮.৬৪পয়েন্টে। সন্ধ্যার পরে ৫সেন্টিমিটার বেড়ে তা দাড়িয়েছে ৮.৬৯ পয়েন্টে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি দৈনিকসিলেটডটকমকে জানান, ‘জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতোমধ্যে জেলার সকল ইউএনওকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমি নিজে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছি।’
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে শুক্রবার বিকেল ৩টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিলেট পয়েন্টে সুরমা এখনো বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ পয়েন্টে বিপদসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কুশিয়ারার আমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ দশমিক ১ সেন্টিমিটার, শেওলায় ১১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে ৭ দশমিত ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়েই পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কানাইঘাটে সীমান্ত নদী লোভা ১৪ দশমিক ৬১ এবং জৈন্তাপুরে সারী নদী ১২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।