শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। ছোটবড় অসংখ্য নদী হাতের আঙ্গুলের মত, কিংবা মাছ ধরার জালের মতো সারাদেশকে জড়িয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিশাল এলাকার বৃষ্টি, বরফগলা ও চুয়ানো পানি এবং সকল নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। অবিভক্ত ভারতবর্ষের পাহাড়-পর্বত এবং নদ-নদীর মানচিত্রের দিকে মনোনিবেশ সহকারে তাকালেই এর বিশালতা উপলব্ধি করা যায়। অবিভক্ত ভারতের সিন্ধু অববাহিকা এবং বিন্দু পর্বতের দক্ষিণাংশ বাদে বাকি বিশাল এলাকার পানি এই পথেই সাগরে যায়। আর এই সকল নদ-নদীর পানিবাহিত পলিমাটি দ্বারাই (চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বাদে) গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সুতরাং একথা বলা যায় যে, বাংলাদেশ বন্যার দ্বারা সৃষ্ট। যে বন্যা বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে, সেই বন্যাই আজ বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে উদ্যত।’ প্রতি বছরই বন্যা নামক দুর্যোগ এসে বিপর্যস্ত করে দেয় মানুষের জীবন। কেড়ে নেয় কখনও হাজার, কখনো লাখো প্রাণ। গবাদিপশুসহ যাবতীয় স্থাবর সম্পত্তির বিনাশ তো ঘটেই। জাতীয় অর্থনীতিতেও পড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ভেস্তে যায় উন্নয়ন পরিকল্পনা। বিপর্যন্ত মানুষের হাহাকার, দুর্ভোগ-মৃত্যু লাশের স্তুপ সবকিছু মিলে তৈরি হয় এক একটি চিত্র, যা বিদেশী প্রচার মাধ্যমগুলোতে স্থান পায়। তুলে ধরে আমাদের দেশের দারিদ্রকবলিত দুর্যোগপীড়িত বিপন্ন চেহারাটি। দেশের জন্য মোটেই মর্যাদাকর নয় এ রূপটি। কারণ তাতে ভিক্ষার ঝুড়ি ভরলেও মর্যাদার আসনটি শূণ্য হয়। সাধারণভাবে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত করে বন্যা, খরা, কালবৈশাখী, সাইক্লোন ইত্যাদি কোন একটির বা একাধিকের প্রবল প্রতাপ। অনেক সময় এগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাহাড়ী ঢল, নদী ভাঙন, শিলাবৃষ্টি, ভূমিধ্বস কোটি মানুষের জীবনকে তছনছ করে দেয়। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যেন ফি বছর ঘূর্ণিঝড়- জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় প্রহর গুনে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যভাগ বন্যা অথবা অতিবর্ষণের ছোট-বড় আক্রমণের শিকার হচ্ছে প্রায় প্রতি বছরই। এভাবেই চলছে দেশজুড়ে দুর্যোগের চক্রাকার আবর্তন।
আমাদের দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বললেই যে বিপর্যয়টির রূপ ভেসে ওঠে তা হলো বন্যা। এমন কোনো বছর যায় না যা যেবার দেশের কোথাও না কোথাও বন্যা অথবা বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয় না। প্রধান প্রধান নদ-নদীসমূহে মে মাস থেকে প্রবল পরিমাণে পানি বহন শুরু করলে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। এরপর মৌসুমী বৃষ্টি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তোলে। চারটি প্রধান নদীর পানি একই সাথে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকায় বন্যা প্রলয়ংকরী বন্যায় রূপ নেয়। পরে বন্যার পদধ্বনি শোনা যায় দেশের অন্যান্য জায়গাতেও। জুলাই নাগাদ রাজধানীর নিমাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে যায়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে বন্যা আর বন্যায় মৃত্যু রোগের প্রকোপ-খাদ্যাভাব।বন্যা কাকে বলে সে ব্যাপারে পরিস্কার ব্যাখ্যা থাকা আবশ্যক। বর্ষাকালে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে বিশাল জলরাশি বয়ে যায়, তার বেশিরভাগই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বন্যা নয়। বাংলাদেশের জন্য তা আশীর্বাদ। এ পানি না হলে বাংলাদেশ খরায় আক্রান্ত হবে। অতএব পানি যখন কোন বসতবাড়ির উঠানের সমান উচ্চতায় আসে তা বন্যা নয়। পানি যখন উঠান অতিক্রম করে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে, তখনই তাকে বন্যা বলা হয়। তার পূর্ব পর্যন্ত বর্ষাকাল। দেশের সকল জেলার মধ্যে ৫৭ টি জেলা কখনো না কখনো বন্যা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। চলিত বছর কিছু কিছু জেলার মানুষ বন্যার দ্বারা আক্রান্ত। দেশের প্রায় সমস্ত নদ-নদী ও তার শাখা-প্রশাখা বিপদসীমার বহু ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অগণিত মানুষ পানিবাহিত রোগের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র বন্যার রুদ্রলীলা দেশকে এক ব্যাপক বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে পরিণত করেছে। দেশের নদীসমূহের তলদেশে পলি পড়ে ভরে যাওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের উজানের অঞ্চলের দেশ ভারতে প্রলয়ংকরী বন্যার পানি এই অববাহিকার দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা মারাত্মক রূপ ধারণ করে থাকে। ১৯৫৪-৫৫ সালের উপুর্যপরি ভয়াবহ বন্যার কারণে সরকার আমেরিকান বিশেষজ্ঞ মিঃ ক্রগকে বাংলাদেশের বন্যা সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য নিয়োগ করেন। মিঃ ক্রগ যে রিপোর্ট প্রণয়ন করে সরকারের কাছে পেশ করেন (১৯৫৭) তা ‘ক্রগ মিশন’ নামে খ্যাত। পরবর্তীকালে মিঃ হার্ডিন (১৯৬৩) এবং মিঃ থিশজী (১৯৬৪) এই রিপোর্টের পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রণয়ন করেন। এই ক্রগ মিশন রিপোর্টের ভিত্তি করে এ দেশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু হয়। ক্রগ মিশন বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিল। তাকে ভুল ব্যাখ্যা করে এদেশে পানি প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু হয়। সিদ্ধান্ত হয়, এক একটা এলাকা বাঁধ দিয়ে এমনভাবে ঘিরে দাও যেন এক ফোঁটা পানি প্রবেশ করতে না পারে। এভাবে ইপি-ওয়াপদা এবং বর্তমানের পানি উন্নয়নবোর্ড প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন একর এলাকা বাঁধ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বাঁধ দিয়ে ০.৫৮ মিলিয়ন একর জমিতে পানি ঢোকা সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে। সুতরাং সর্বমোট ৪.১৮ মিলিয়ন একরে পানি ঢুকতে বাধা পায় ।ফলে পানি থাকার জায়গার আয়তন কমে গিয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা ঘটায়। পানির সাথে পলিমাটি থাকে। অতএব যে এলাকা দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়, তা নদী হোক বা নিচু এলাকা হোক, সেখানে পলি মাটি জমে উঁচু হয়। পানি যে এলাকায় ঢুকতে পারে না, সেখানে পলি মাটি পড়ে না, ফলে সে এলাকা ক্রমাগতভাবে নিচু হতে থাকে। এভাবেই বিগত ৩২ বছরে বাঁধ দিয়ে ঘেরা নদ-নদীর তলদেশ একতরফাভাবে উঁচুভাবে উঁচু হয়েছে। লোকালয় বা বাঁধের ভেতর এলাকা আনুপাতিক হারে নিচু হয়েছে। যেমন নগরবাড়ীর ভাটি পর্যন্ত যমুনা নদীর পশ্চিম পাড় পূর্ব-পাড়ের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট নিচু হয়ে গেছে। ফলে যমুনা নদীর পশ্চিম পাড় প্রচন্ড ভাঙনের সম্মুখীন হয়েছে। যমুনা নদীর প্রবাহ পথ পলি জমে জমে উঁচু হয়েছে। প্রবাহ পথের মাঝের চর এলাকা আরও বেশি উঁচু হয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যায়, যমুনার প্রায় ৭০ ভাগ প্রবাহ পথ দু’পাশের লোকায় থেকে উঁচু হয়ে গেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী ২৫-৩০ বছরের মধ্যে যমুনা নদীর বর্তমান প্রবাহ পথ সম্পূর্ণটা উঁচু হয়ে যাবে এবং ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালের ন্যায় কোন এক ভয়াবহ বন্যার সময় যমুনা নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হবে, যার ফলে লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ হানি এবং জীবনহানি হবে। এমনিভাবেই করা হয়েছে জি কে প্রজেক্ট, চাঁদপুর প্রজেক্ট, মেঘনা-ধনাগোদা প্রজেক্ট, ডিএনডি প্রজেক্ট, নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী প্রজেক্ট, পাবনা প্রজেক্ট, চলনবিল প্রজেক্ট, মনু নদী প্রজেক্ট, তিস্তা প্রজেক্ট, মুহরী প্রজেক্ট ইত্যাদি।
২০০০ সালের আগষ্ট মাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি রিপোর্ট বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে, যাতে আমাদের দেশের দুর্যোগে বিপর্যস্ত জনপদের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। ওয়াল্ড ডিজাস্টার রিপোর্টের বরাত দিয়ে রেড ক্রিসেন্ট সমিতি বলেছে, এ দেশে কোন কান কোন দুর্যোগ পড়ে মারা যায় প্রায় তেরো হাজার মানুষ, আহতহয় ঊনিষ হাজার, ক্ষতিগ্রস্থ হয় দশ লাখেরও বেশি। গত দশ বছরেই এদেশে নানা দুর্যোগে মারা গেছে ষোলো হাজারেরও বেশি মানুষ। একমাত্র গত বছর অর্থ্যাৎ ১৯৯৯ সালে প্রায় পাঁচ লাখ লোক দুর্যোগকবলিত ছিল। রিপোর্ট আরও বলা হয়, ’৯০ থেকে ৯৮ পর্যন্ত এ দেশে পড়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্বে বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ সর্বোচ্চ। গত এক দশকে সার্ক ও আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোর ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেসব আঘাত হেনেছে তার শতকরা নব্বই ভাগ ঘটেছে বাংলাদশের ওপর। শুধু তাই নয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে মৃত্যুর হারও সর্বোচ্চ। এখানে প্রতি দশলাখে মারা যায় প্রায় চার হাজার। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় এশিয়ায় সর্বমোট মৃত্যুর মধ্যে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার যথাক্রমে ৮৬ ভাগ ও ৪৮ ভাগ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগর হলো বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কবলিত অববাহিকা। গত শতাব্দীর দশটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে সাতটিই বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে। কেবলমাত্র ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও জ্বলোচ্ছাসেই এ দেশে গত দশ বছরে প্রাণ হারিয়েছে আনুমানিক ১ লাখ ৫৩ হাজার লোক, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা অন্তত ৫ কোটি, সম্পদ বিনষ্টের হিসাব দাঁড়িয়েছে ৭শ’ কোটি ডলার।
আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।ভয়াবহ বন্যা সমস্যা সমাধান করতে হলে করণীয় কি? (১) বাংলাদেশে বন্যা নিয়ন্ত্রণের নামে, জল-সেচনের নামে বাঁধ নির্মাণ করে যে সমস্ত উপনদী, শাখা নদী, খালের মুখ বন্ধ করে ফেলা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে খুলে দিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় সাইজের (প্রশস্ত এবং গভীর) রেগুলেটর নির্মাণ করতে হবে। যাতে সারাবছর তাতে পানি প্রবাহিত হয়, (২) উপ-নদী, শাখা-নদী এবং খালের মুখে রেগুলেটর ছাড়াও বাঁধের প্রতি কিলোমিটারে ১টি করে প্রশস্ত রেগুলেটর নির্মাণ করতে হবে, যাবে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত না হয়, (৩) নিচু এলাকা আমন ধানের জন্য রেখে উঁচু এলাকায় তিন-ফসলী কৃষি ফার্ম গড়ে তুলতে হবে। যে সমস্ত আমন ধানের এলাকায় অর্থ্যাৎ গভীর নিচু এলাকায় এ ধরনের স্কীম নেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে পরিত্যাক্ত করতে হবে, (৪) কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পল্লী পূর্ত কর্মসূচী, কেয়ার ইত্যাদি সংস্থার রাস্তা নির্মাণ কর্মসূচী একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়ন্ত্রণে এনে সারাদেশের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। রাস্তা নির্মাণে পানি প্রবাহের বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে, (৫) নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর হাওড়-বাওড় অবিলম্বে খনন করে গভীরতা বাড়াতে হবে, (৬) খাস জমিতে বন সৃষ্টি করতে হবে যাতে বণাঞ্চলের পরিমাণ কমপক্ষে ২৫ ভাগ হয়, (৭) বৃটিশ আমলের ক্যানাল এ্যাক্ট, ইরিগেশন এ্যাক্ট এবং পন্ডস এ্যাক্ট পুনরুজ্জীবিত করে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই নিচু জমি ভরাট করা যাবে না, (৮) ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সাথে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। তাদের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। যাতে তাদের দেশেও নদ-নদী এবং নিচু এলাকা ভরাট না হয়, (৯) বন্ধুত্ব শুধু রাষ্ট্রে নয়, জনগণের সাথে জনগণের, যেমন-বাংলাদেশের কবি লেখকগণ, সাংবাদিকগণ, ব্যবসায়ীগণ, শিক্ষকগণ, পেশাজীবী সংগঠন ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের কবি-লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক এবং পেশাজীবীদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলবে, যাতে রাষ্ট্রযন্ত্ররূপী অন্ধ শক্তিকে মানবতামূখী করতে পারে, (১০) যে সমস্ত কারণে পৃথিবীর বায়ূমন্ডল উষ্ণ হয়ে উঠছে এবং ওজোন স্তর বিনষ্ট হচ্ছে, সমুদ্রের পানি উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা বন্ধ করতে জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বজনীন কার্যক্রম গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।