মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
এবার ফেসবুকে নাগরিক সেবা

এবার ফেসবুকে নাগরিক সেবা

facebook-300x182আমার সুরমা ডটকম : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিস্তার প্রায় সব জায়গায়। তা বুঝতে পেরেই ফেসবুক পেজ খুলেছিল কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়। উদ্যোগটি প্রশংসিতও হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনও যোগ দিয়েছে এমন উদ্যোগে। উদ্দেশ্য নাগরিক সেবা দান। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সেবা দান কতটা সম্ভব হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে প্রথমে ঢুঁ মারা।

এই পেজ ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রশংসিত। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদির’ মতো বিশেষ পর্বেও স্থান পেয়েছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ফেসবুকের মাধ্যমে জেনে নগরবাসীদের সেবা দানের এই উদ্যোগ। ফেসবুক পাতার সহায়তায় নাগরিক সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজই শুধু প্রশংসা কুড়ায়নি, এমন একটি উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনও পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি। পুরস্কৃতও হয়েছেন। একাধিকবার দেশসেরা জেলা প্রশাসকের পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ বেলাল হোসেন।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনেরও অফিসিয়াল ফেসবুক পাতা রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যও ফেসবুকের মাধ্যমে নগরবাসীর তরিৎ সেবা নিশ্চিত করা। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পূর্ণাঙ্গ কোনো ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাংলা এবং ইংরেজিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচয়ে দুটি ফেসবুক পাতা খুঁজে পাওয়া যায়। দুটিই সম্ভবত ব্যক্তিগত উদ্যোগে খোলা এবং কোনোটারই অফিসিয়াল স্বীকৃতি দৃশ্যমান নয়। ঢাকার দুই মেয়র কিছু দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের কাছে রাজধানী বাসীর অনেক প্রত্যাশা।

প্রত্যাশা পূরণের কাজ শুরু করেছেন বলেই তাদের দাবি। বড় শহর৷ বড় বড় সমস্যা। অনেক বছরের জমানো সমস্যা। অনেক সমস্যার সমাধানই সময়সাপেক্ষ। সাক্ষাৎকারে, সভায়, সিম্পোজিয়ামে এসবই তারা বলছেন। ভূমি দখল, খাল ভরাট ইত্যাদির কারণে ঢাকা মহানগরকে যানজট, জলাবদ্ধতা মুক্ত করা দীর্ঘ মেয়াদে শেষ করার মতো কাজ এ কথা তারা বলছেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায়, জোরালো যুক্তিতে। সব সমস্যা দূরীকরণে সমন্বিত প্রয়াসের প্রয়োজনের কথাও বলা হচ্ছে।

সম্প্রতি ঢাকা নগরোন্নয়ন ও নাগরিক সমস্যা দূর করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক এবং দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। তারা এমন এক টাস্কফোর্স চান যা দুই সিটি কর্পোরেশন এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে। টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিগতভাবে রাজি বলেও জানিয়েছেন তারা। কিন্তু সেই টাস্কফোর্স কবে হবে? গঠন করার কয় মাস বা কয় বছর পরে গতি পাবে টাস্কফোর্স? কবে শুরু হবে জনদুর্ভোগ কমানোর নতুন এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন? এ সব প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা।

এ অবস্থায় জনগণের মন্তব্য এবং অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে নগর জীবনের সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অগ্রাধিকারের দাবি রাখে। ঢাকা উত্তরের ফেসবুক পেজ সেই দাবি কতটা পূরণ করে, ঢাকা দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশনও ‘অবৈধ’ পেজগুলো বন্ধ করে নিজেদের নতুন পেজ খুলে নগরসেবা ত্বরাণ্বিত করে কিনা সেটাই এখন দেখার।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com