শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, লকডাউন কী?

আমার সুরমা ডটকম:

বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, লকডাউন শব্দগুলো বার বার উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু অনেকের কাছে এই শব্দগুলোর অর্থ এখনো অজানা। আবার অনেকেই এগুলোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

চলুন জেনে নিই কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, লকডাউন কী?

কোয়ারেন্টাইন
যেসব ব্যক্তিকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তিনি সুস্থ হতে পারেন, আবার নাও পারেন, তার মধ্যে হয়তো জীবাণু আছে কিন্তু কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি— এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে প্রাথমিকভাবে ১৪ দিন এভাবে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়। ১৪ দিন পর্যন্ত কাউকে কোয়ারেন্টাইনে রাখলে যদি তার ভেতরে জীবাণু থাকে তাহলে উপসর্গ দেখা দেবে। কোয়ারেন্টাইন থেকে লক্ষণ প্রকাশ না হলে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলা হয়। কোয়ারেন্টাইনে রাখা অবস্থায় উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশনে নিয়ে যেতে হবে।

আইসোলেশন
আইসোলেশন হচ্ছে, কারো মধ্যে যখন জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে বা ধরা না পড়লেও উপসর্গ থাকে তখন তাকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বিশেষ এই পদ্ধতিতে কোনো রোগীর হাঁচি-কাশি, মল-মূত্র অন্য কারো সংস্পর্শে যাবে না। জীবাণু যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এজন্য রোগীকে যত রকম ব্যারিয়ার দেওয়া সম্ভব, আইসোলেশনে তা দেয়া হয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, আইসোলেশন হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য, আর কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে সুস্থ বা আপাত সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য। আইসোলেশনে কতদিন রাখা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। পুরোপুরি সেরে না ওঠা পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়।

হোম কোয়ারেন্টাইন
কোনো ব্যক্তি যখন বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনের সকল নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সাথে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন সেটিকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলা হয়। কোনো ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরেন তাকে হোম কোয়রান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও কমপক্ষে ১৪ দিন তিনি কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলবেন।

স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন
কোনো ব্যক্তি যখন সকল প্রকার সামাজিকতা থেকে দূরে থেকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করেন তখন সেটি স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত নাও হতে পারেন। আবার হয়তো তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ ভ্রমণও করেননি। বরং, এই ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য নিজেকে আলাদা রেখেছেন।

লকডাউন
এর শাব্দিক অর্থ তালাবদ্ধ করে দেয়া। শব্দটির ব্যাখ্যায় ক্যামব্রিজ ডিকশনারিতে বলা হয়েছে, কোনো জরুরি পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষকে কোনো জায়গা থেকে বের হতে না দেয়া কিংবা ওই জায়গায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়াই হলো ‘লকডাউন।’ এছাড়া অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে বলা হয়েছে, জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজনে কোনো নিদিষ্ট এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণ করাই ‘লকডাউন।’ তবে ‘লকডাউন’ শব্দটির সরল বাংলা ‘অবরুদ্ধ’ কিংবা ‘প্রিজনে রাখা’ বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মুনতাসির হাসান। এই মতটিকেই সমর্থন করে ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “এই শব্দটি নতুন আসায় এর বাংলা প্রতিশব্দ এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে এর অর্থ ‘অবরুদ্ধতা’ হতে পারে।”

সূত্র: রাইজিংবিডি.কম

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com