সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ ধান, মাছ, বালু, পাথর চার নিয়ে প্রাণ। জানা যায়, হাওরাঞ্চল সুনামগঞ্জ সাধারণ মানুষ শতকারা ৮০ জন মানুষ কৃষি কাজে নিয়োজিত। কৃষি প্রধান দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এই অঞ্চল রয়েছে বিশাল হাওর,বাওর, খাল, বিল এমন কি রামসা নামে টাংগুয়ার হাওর। প্রবাদে আছে ছয় কুড়ি খাল, নয় কুড়ি বিল এই নিয়ে টাংগুয়ার হাওর। মাছ শিকারের পাশাপাশি এই এলাকার সাধারণ মানুষ বালু, পাথরে কাজ করে এমনকি কিছু কিছু মানুষ বালু পাথরে ব্যবসা করে বলে জানান ভোক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালু ব্যবসায়ী প্রতিবেদকে জানান, কিছু কিছু গাড়ী সড়ক পথে যাতায়াত করছে, প্রতিটি যানবাহনে ৫/৬ জন যাত্রী রয়েছে। কিন্তু আমাদের নৌপথ অবরুদ্ধ রয়েছে, যেখানে মাত্র ২ জন শ্রমিক থাকে। ভলগেট, ইঞ্জিল চালিত বোর্ড বা নৌকা যদি চলাচলের অনুমতি পাওয়া যেত তাহলে শত শত কোটি টাকা নষ্ট হত না। কারণ সুনামগঞ্জ হতে জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, লক্ষীপুর, মান্নানঘাট সহ গজারিয়া পর্যন্ত ৬শত ব্যবসায়ী রয়েছে। প্রত্যেকে বালু স্টক করেছেন নদীর পাড়ে। পানি বৃদ্ধি পাওয়া নদীর গভীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সরকার হারাচ্ছেন রাজস্ব। শ্রমিকরা তাদের কাজ থেকে হচ্ছে বঞ্ছিত।
অন্য এক ব্যবসায়ী জানান, সুনামগঞ্জের বালু দ্বারা নির্মীত হচ্ছে দেশের সর্ব বৃহৎ নদীর উপর ব্রীজ, দালান কোটা-রাস্তাসহ সিলেকশান এই সুনামগঞ্জের বালু। পাহাড়ী ঢল ও উজান থেকে আসা পানি সুরমা নদীতে বালু বিলীন হচ্ছে। আমাদের আবেদন বালুর ভলগেইট ছালুন অনুমতি প্রার্থনা করছি সরকার ও স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কাছে। আমরা সবাই যেন বালুর নৌকা চলাচল করতে পারি।