শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
মহাপ্রলয় চালিয়ে গেল আম্পান। এখনও তার স্মৃতি বয়ে চলছে মানুষ। ভারত-বাংলাদেশে বিপুল ক্ষতি হয়েছে এই সুপার সাইক্লোনের ফলে। কলকাতার হালও বেহাল। আম্পান ঝড়ের পর থেকে বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। কোথাও আবার পানিজমে রয়েছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাণ্ডবলীলা শুরু করে দেবে নিসর্গ। মুম্বাই উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে ঝড়-বৃষ্টি। আরব সাগরের ওপর গতি বাড়িয়েছে নিসর্গ। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে মুম্বাইয়ের দিকে এগিয়ে আসছিল নিসর্গ। আজ বুধবার সকালে তা ঘণ্টাপ্রতি গতিবেগ বাড়িয়েছে ২০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার আগে নিসর্গ ঘণ্টায় ২৪ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসবে। ভারতের আবহাওয়া ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ ভারতের পশ্চিম উপকূলে সর্বাধিক প্রায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে। উপকূল বরাবর গুজরাটের দিক দিয়ে খানিকটা এগিয়ে এটি প্রবেশ করবে ভূখণ্ডে।
ঘূর্ণিঝড়টি মুম্বাইয়ের ভূমি ছুঁয়েই উত্তর অভিমুখে এগিয়ে যাবে উপকূল বরাবর। পূর্ব থেকে উত্তরদিকে ঘুরেই অতি শক্তিশালী হয়ে উঠবে ঝড়টি। তারপর সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে মহারাষ্ট্রের হরিহরেশ্বরের কাছে আছড়ে পড়ে মূল ভূখণ্ডে ঢুকে যাবে। নাগপুরের পাশ দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে তা চলে যাবে এলাহাবাদের দিকে। ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মানুষজনকে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে কোস্টগার্ড, ইন্ডিয়ান নেভি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ আজ বুধবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত স্থলভাগে থাকবে। ভূখণ্ডে ঢুকে তিনদিন ধরে তাণ্ডব চালাবে সেটি।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মুম্বাইয়ে সাধারণত কোনো ঝড় হয় না। মুম্বাইয়ে ঝড় আছড়ে পড়া খুব বিরল ঘটনা। ১৩৮ বছর আগে শেষবার বিধ্বংসী ঝড় হয়েছিল মুম্বাইয়ে। সে ঝড় বোম্বে সাইক্লোন নামে পরিচিত ছিল। এ ছাড়া সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বায়ু ২০১৭ সালে গুজরাট উপকূলে হানা দিয়েছিল।