সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি দু’দফা বন্যার কারণে সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ ১১টি উপজেলার প্রায় ৬ শত কিলোঃ মিটারের উপর কাচাপাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ ৫ শত কোটি টাকার উপরে। ফলে সৃষ্ট বন্যায় ইতিমধ্যে লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘরস্থ সুরমা নদীর পানি বিদপ সীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ এলজিইডি সূত্রে যায়, দু’দফা বন্যার কারণে সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ ১১টি উপজেলার ৬ কিলোমিটারের উপরে পাকা ও কাচাপাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান ৫শত কোটি টাকার উপরে হবে এবং গ্রামীন কাচাপাকা রাস্তার ৩৫ কিলো উপরে প্রটেকশন ওয়ালের ও ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে তা পরিমাণের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। অপরদিকে বন্যায় বিভিন্ন উপজেলায় নলকূপগুলো পানির নীচে তলিযে যাওয়ার কারণে অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে যাওয়াতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চরম সংকট দেখা দিয়েছে এবং রোপা আমনও তলিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের গোবাধি পশুর গোখাদ্য না থাকায় ভানবাসি মানুষজন তাদের গোবাধি পশু পালনে রয়েছেন চরম বিপাকে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল আলম জানান, বন্যার কারণে রাস্তাঘাটের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাগুলোর মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে এবং ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।