রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
কামরুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

কামরুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

010_167768_100210আমার সুরমা ডটকম : সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক এ আদেশ দেন। এর আগে বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে কামরুলকে আদালতে তোলা হয়। পৌশাচিকভাবে শিশু রাজন হত্যার প্রধান আসামি কামরুলকে সৌদিআরব থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বেলা তিনটার দিকে কামরুলকে দেশে নিয়ে আসেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সহকারী কমিশনার এএফএফ নেজাম উদ্দিন। গত ৮ জুলাই রাজনকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামের বাসিন্দা শিশু রাজন সবজি বিক্রি করত। তার লাশ গুম করার সময় ধরা পড়েন একজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদিআরবে চলে যান। প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁকে ধরে পুলিশে দেন। দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের সহায়তায় কামরুলকে সৌদিআরব থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। ১৩ জুলাই কামরুলকে জেদ্দায় গ্রেপ্তারের পর তাঁকে দেশে ফেরাতে সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ শুরু করে। এরপর তাঁকে দেশে ফেরত আনার জন্য ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়। ইন্টারপোল ২১ জুলাই কামরুলের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে। পরে কামরুল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সৌদি সরকারকে দেওয়া হয়। এভাবেই তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গত সোমবার কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা সৌদিআরবে যান। রাজন হত্যা মামলায় কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। রাজন হত্যার ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে মামলার বাদী ও জালালাবাদ থানার এসআই আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর ও এসআই জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিমানবন্দরে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কামরুলের বিরুদ্ধে মামলাটি সিলেটে হওয়ায় তাঁকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। সেখানে নেওয়ার পর তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ: এদিকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে গতকাল এই হত্যা মামলায় আরও ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলার ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল ছয় সাক্ষ্যদানকারী হলেন হলেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জালালাবাদ থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক আলমগীর, বর্তমান ওসি মো. আখতার হোসেন এবং এসআই আরিফুল আমিন, সুনামগঞ্জের দিরাই থানার এসআই মহাদেব বাঁছাড়, দোয়ারাবাজার থানার এসআই শামীম আখঞ্জি ও ছাতক থানার এএসআই সোহেল রানা। বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী বলেন, আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদারের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। এ মামলায় ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হলে বিচারকাজ শুরু হয়। গত রোববার থেকে গতকাল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com