শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : সারাদেশে ৩২৩টি পৌরসভার মধ্যে আগামী ডিসেম্বরে ২৪৫টি পৌরসভার নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানানো হয়েছে, ২৪৫টি ছাড়া অবশিষ্টগুলোর নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে সম্পন্ন হবে। এছাড়া ইউনিয়র পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ আগামী বছর ২৯ মার্চের মধ্যে শুরু হবে। দেশে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, জেলা পরিষদ গঠন হলেও এই নির্বাচনের বিধিমালা এখনো করা হয়নি। বিধিমালা তৈরি হওয়ার পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে নারায়ণগঞ্জ এবং এরপর কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। এদিকে আগামীতে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে সম্পন্ন করতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম। এ ক্ষেত্রে কমিশন এখন ভারতের স্থানীয় নির্বাচনগুলোর আইন ও বিধিমালা খতিয়ে দেখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তাদের আইন ও বিধিমালা দেখা হচ্ছে। ভারতে পঞ্চায়েত নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়। তাদের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হবে। তারা কীভাবে নির্বাচন করে, তা জানার চেষ্টা করা হবে।’ ইসি সচিব বলেন, ‘এতদিন স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হয়েছে। সরকার সম্প্রতি দলীয়ভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য বর্তমান আইনগুলো পরিবর্তনে মন্ত্রিসভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই ধরে নিচ্ছি, দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনের আইন হচ্ছে। যেহেতু স্থানীয় নির্বাচন সরকারের আইনে হয়, সেহেতু দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। কমিশনেরও সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিধিমালায়ও প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, বর্তমানে যে আচরণ বিধিমালা রয়েছে, তা নির্দলীয় প্রার্থীদের জন্য করা হয়েছিল। এখন দলীয় ভিত্তিতে হলে বিধিমালায় সংশোধন আনতে হবে। আইন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিধিমালা পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে। তবে কিছু কিছু প্রস্তুতির কাজ করে রাখা হচ্ছে। কিন্তু আইন না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই করা যাবে না। কেননা, বিধিমালা করার ক্ষমতা আইনেই দেয়া হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনগুলো এর আগে নির্দলীয় হলেও দলীয় সমর্থন থাকে। দলের সব শক্তি তারা ওখানে নিয়োগ করে। তাই কমিশন মনে করে না যে, এটি আইনি কাঠামোয় আনার ফলে অতিরিক্ত কিছু হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো প্রার্থীদের গণতান্ত্রিক আচরণ। তারা গণতান্ত্রিক আচরণ করলে কোথাও কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সিরাজুল ইসলাম বলেন, আইন অনুযায়ী, ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন করতে হবে। সে অর্থে পৌরসভা নির্বাচনের জন্য বেশি সময় নেই। ওই ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জন্যও দলীয়ভাবে নির্বাচনের আইন হলে সেভাবেই নির্বাচন হবে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচগুলো দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।