২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত নাস্তিক বিরোধী ও অরাজনৈতিক সংগঠন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মরহুম আল্লামা শাহ আহম্মদ শফির হাতে গড়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। হেফাজতের জন্মলগ্ন থেকে আমির ছিলেন তিনি। মহাসচীব হিসাবে ছিলেন একই মাদ্রাসার হাফেজ মাওঃ জুনাঈদ বাবু নগরী। প্রথম আমির আল্লামা আহম্মদ শফির মৃত্যুর পর, আমিরের পদটি শুন্য হলে গত ১৫ ই নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের উৎপত্তিস্হান হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে শুরা কমিটির মাধ্যমে তৎকালীন মহাসচীব হাফেজ মাওঃ জুনাইদ বাবু নগরীকে আমির নির্বাচীত করেছেন শুরা কমিটি। পাশাপাশি নতুন মহাসচীব নির্বাচীত হন ঢাকা জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক মাওঃ নুর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচীব নির্বাচীত করে। মহসচীব নির্বাচীত হওয়ার পর মাত্র ২৮ দিনের মাথাই গত ১৩ ই ডিসেম্বার ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেছেন নুর হোসাইন কাসেমী। যার ফলে হেফাজতের মহাসচীব পদটি পুনরাই শুন্য হয়ে পড়ে। এবার যে কোন সময়ে হেফাজতের নতুন কাউন্সিলের মাধ্যমে মহাসচীব নির্বাচীত করা হবে বলে জানান হেফাজতের এক নেতা। হেফাজতের মহাসচীব নুর হোসাইন কাসেমীর সহকারী মহা সচীব হিসাবে আরো চার জন রয়েছে। তারা হলেন মাওঃ জুনাঈদ আল হাবিব, মাওঃ মামুনুল হক, মাওঃ নাচীর উদ্দীন মনির ও, মাওঃ লোকমান হাকিম ,এই চার জন তবে দায়িত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে সমগ্র দেশে জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা। তৌহিদী জনতার মাজে হাজারো জল্পনা কল্পনা দেখা দিয়েছে। এই হেফাজতে ইসলাম ২০১০ সালে প্রতিষ্টিত হলেও সবচেয়ে দেশবিদেশের তৌহিদী জনতা ও সরকার সহ সবার মুখে, মুখে আলোচনায় আসে ২০১৩ সালের ৫ ই মে ১৩ দপা দাবী জানিয়ে ঢাকার গনজাগরন মঞ্চের বিরোদ্বে তৎকালিন আমির মরহুম আল্লামা শাহ আহম্মদ শফির ডাকে সারা দেশের আলেম উলামা তৌহিদী জনতা এক হয়ে ঢাকার শপলা চত্বরে জমায়েত হন। এর পর হেফাজতে ইসলাম আর বড় ধরনের কর্মসুচী না দিলেও তবে হেফাজত সহ ইসলামি দল গুলো
হঠাৎ করে হুংকার দেন বঙ বন্দুর ভাস্কর্য নিয়ে। তবে তা নিয়ে সরকার ও আলেমদের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানা যাই।।
এদিকে সহকারী মহাসচীব পদে যারা রয়েছেন তার মধ্যে মাওঃ জুনাঈদ আল হাবিব, মাওঃ মাসুনুল হক, এই দুইজন ঢাকার, মাওঃ লোকমান হাকিম, চট্রগ্রামের অপর জন মাওঃ নাচীর উদ্দীন মুনির, চট্রগ্রাম হাটহাজারীর মোট এই চার জন রয়েছে হেফাজতে ইসলামের সহকারী সচীব পর্যায়ে। দায়িত্ত পেলে নিয়ম মতে চার জনের মধ্যে একজন পেতে পারেন। তবে হেফাজতের এক নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, মহাসচীব এর দায়িক্ত সহকারী সচীবরা পাবেনা, হেফাজতের সকল সদস্যদের নিয়ে পুনরাই সম্মেলনের মাধ্যেমে আবারো মহাসচীব নির্ধান করবেন বলে জানা গেছে। অপর এক হেফাজতে নেতা জানান যে মহাসচীব পদে ৫জন থাকলেও বর্তমানে বেছে আছেন চার জন। কিন্তু মহাসচীব পদে চারজন হতে কাউকে মহাসচীব পদে আনা হবেনা বলে জানান। হেফাজতে ইসলামের শুরা কমিটির বৈঠকের মাধ্যেমে বর্তমানে নায়েবে আমির হতে, ভালো ও দক্ক একজনকে মহাসচীব পদে আনা হবে বলে জনান। যিনি হবেন রাজধানীর ঢাকা জেলার। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে আমির আল্লামা শাহ আহম্মদ শফির মৃত্যু,, নতুন আমির ও মহা সচীব নির্বাচীত করা আবার নির্বাচীত মহাসচীব এর মৃত্যু সব মিলে বিগত তিন মাসে যেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা কর্মীদের মাঝে এক অস্তিরতা বিরাজ করছে বলে এক নেতা জানান। এছাড়া হেফাজতের ১৫১ জন সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির মধ্যে এখনো পুর্নাঙ কমিটি এখনো করা হয়নি। তার মধ্যে আবারো সম্মেলনের আয়োজন করে নতুন মহাসচীব নির্বাচীত করতে হবে।