মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিসহ দেশটির ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য নেতাদের আটক করা হয়েছে বলে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) মুখপাত্র জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোরে চালানো এক অভিযানে তাদের আটক করা হয় বলে সোমবার মুখপাত্র মিও নয়েন্ট জানিয়েছেন।
দেশটির বেসামরিক সরকার ও প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে বাড়তে থাকা উত্তেজনার পর এ ঘটনা ঘটল।
গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি বড় জয় পেয়েছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছে ৩৪৬টি আসন।
সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে।
তারপর থেকেই দেশটিতে ফের সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
এনএলডির মুখপাত্র নয়েন্ট টেলিফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সু চি, প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট ও অন্যান্য নেতাদের ভোররাতের দিকে ‘ধরে নিয়ে’ যাওয়া হয়েছে।
১৯৬২ সালের এক অভ্যুত্থানের পর দেশটি টানা ৪৯ বছর সামরিক বাহিনীর হাতে শাসিত হয়েছে। ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক এক নির্বাচনে সু চি’র দল ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে প্রায় পাঁচ দশকের সামরিক শাসনের অবসান ঘটায়। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি। কিন্তু গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করা মিয়ানমারের ওপর আবারো কি সামরিক শাসনের খড়গ নেমে আসতে যাচ্ছে?
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে অং সান সু চি’র দল এনএলডি ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার ক্ষেত্রে তার নীরব সমর্থনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সু চি ও তার দলের ভাবমূর্তির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় ২০১৯ সালে তাকে আন্তর্জাতিক আদালতেও (আইসিজে) হাজির হতে হয়েছিল।