রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত সব তদন্ত কমিটির রিপোর্টেই স্বাভাবিক মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গাজীপুরের জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে ‘ন্যাচারাল ডেথ (স্বাভাবিক মৃত্যু)’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এখনও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি, সেটি পাওয়া গেলে চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত্যু হয় লেখক মুশতাক আহমেদের। ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার মুশতাক গত বছরের মে মাস থেকে কারাবন্দি ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায়।
কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন সে সময় জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মুশতাক আহমেদ কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যান। দ্রুত তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, কারাগার থেকে মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।
গত ১১ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
২০২০ সালের মে মাসে রমনা থানায় মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে র্যা্ব। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির পিতা, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে এই মামলায় গ্রেপ্তার মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। তবে লেখক মুশতাকের জামিন হয়নি। ছয়বার মুশতাকের জামিন আবেদন নাকচ হয় আদালতে।