মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের হানায় যারা কাজ হারিয়েছেন, তারা ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিলেই পাবেন খাদ্য সহায়তা। রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান একথা জানিয়েছেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষকে মানবিক সহায়তা দিতে সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এতে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।
এনামুর রহমান বলেন, আমরা ৩৩৩ নম্বরটি প্রচার করেছি। কেউ খাদ্যকষ্টে থাকলে ফোন করলে তাকে তালিকাভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। কাউন্সিলরদের বলেছি যে যেখানে থাকুন না কেন খাদ্যকষ্টে থাকলে তাঁকে এনআইডির ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ ত্রাণ হিসেবে নগদ ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফের জন্য ৪৭২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বড় সিটি করপোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে এবং ছোট সিটি করপোরেশনগুলোকে ৩২ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও টাকা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেশের সব সিটি করপোরেশনের অনুকূলে শিশুখাদ্য কিনতেও আরও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মো. এনামুর রহমান আরও বলেন, করোনাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সব সময়ই টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এর মধ্যে ‘এ’ শ্রেণির জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, ‘বি’ শ্রেণির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং ‘সি’ শ্রেণির জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে মজুত রাখা হয়, যা জেলা প্রশাসকেরা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় করতে পারেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিতে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার করে টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই এই টাকা দেওয়া শুরু হবে। আর সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার কেনা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডলস, চিড়াসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে। আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআর বা কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কাজে কর্মহীন মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।