রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
নতুন এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আবিষ্কৃত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত সর্বোচ্চ মাত্রায় বা ৯৬.২ শতাংশ কার্যকর অ্যান্টিবডি থাকে। এরপর প্রতি দুই মাস অন্তর ৬ শতাংশ করে কমতে দেখা গেছে। ফাইজার ইঙ্কের মুখ্য নির্বাহী (সিইও) অ্যালবার্ট বৌরলা খোদ একথা জানিয়েছেন।
জার্মান জৈব-প্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক এর সঙ্গে যৌথভাবে কোভিড-১৯ টিকা তৈরি করেছে ফাইজার ইঙ্ক। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ধনী অনেক দেশে এটি প্রধান টিকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে টিকাটির দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চার থেকে ছয় মাস পর টিকাপ্রাপ্তদের দেহে সুরক্ষা দানকারী অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা কমে ৮৪ শতাংশে নেমে আসে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি’র ‘দ্য এক্সচেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত একটি গবেষণার ফলাফল সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। যেটা এটি এখনও ফাইনাল রিভ্যিউ করা হয়নি।
তবে এমন সময় ফল প্রকাশিত হলো, যখন অনাক্রম্যতা বাড়ানোর জন্য ফাইজার টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়ার প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোম্পানিটির মতবিরোধ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের ৪৪ হাজার টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এ গবেষণায় অংশ নেন। অধিকাংশের রক্তরসে চার থেকে ছয় মাস পর অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা কমে ৮৪ শতাংশে নেমে আসার প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বৌরলা।
ফাইজার সিইও বলেন, “ইসরায়েলে করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টিকা প্রদত্ত সুরক্ষা হার সময়ের সাথে সাথে ক্ষয়ে যাওয়ার চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের টিকাটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অসুখ প্রতিরোধে আগে শতভাগ সুরক্ষা দিত, কিন্তু ক্ষয়ের কারণে সেই ক্ষমতা কমেছে। ছয় মাস পর এ কার্যকারিতাও কমে ৯০ থেকে ৮০’র মাঝামাঝি নেমে এসেছে।”
বৌরলা আরও বলেন, “এ দুঃসংবাদে মধ্যেও সুসংবাদ হলো; তৃতীয় ডোজ নিলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এত শক্তিশালী হবে যে তা এমনকি ডেল্টা ধরন মোকাবিলাতেও যথেষ্ট হবে।”
সময়ের সাথে সাথে প্রায় সকল টিকার কার্যকারিতা কমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয় জানিয়ে তিনি তৃতীয় ডোজ টিকাদানের পক্ষ নেন। অন্যান্য কিছু রোগ মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি এসময়।
আগামী আগস্টের মাঝামাঝি মার্কিন সরকারের কাছে তৃতীয় ডোজ নেওয়ার সুফল সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ফাইজার ইঙ্ক। সূত্র: সিএনবিসি