শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই শীত মৌসুমে (পৌষ-মাষ) তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীত আর কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে দিরাই। দেখা দিয়েছে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ। পরিবারের সবাই এক সাথে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে বাড়ছে দুশ্চিন্তাও। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি রয়েছে।
প্রবাদ রয়েছে ‘মাঘের শীতে বাঘও পালায়’। সেই প্রবাদটি ইতিমধ্যে শতভাগ পাওয়া যাচ্ছে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা দেখে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। সন্ধ্যার পর থেকেই শৈত্যপ্রবাহের সাথে বাতাস বয়ে যাওয়ার ফলে শীত ও ঠাণ্ডায় আরো তীব্রতা বাড়ছে। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে কুয়াশার পানি বৃষ্টির মত টপ টপ করে পড়ছে। যার ফলে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ চরমভাবে সমস্যায় রয়েছেন।
গতকাল রোববার সকাল আটটায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কোথাও। দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পর সূর্যের সামান্য আলো দেখা যায়। এই তীব্র শীতের সময়ে উপজেলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজনসহ সর্বত্রই জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যাথা ও কাঁপুনীসহ নানা উপসর্গে ভুগছে শিশু, যুবা ও বৃদ্ধ নারী-পুরুষ। হাসপাতালেও অন্য সময়ের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট, সড়ক-মহাসড়কে আবছা আঁধার বিরাজ করছে। প্রচণ্ড শীতে বাড়িঘরের বাইরে কাজেকর্মে যাওয়ার উপায় নেই। এ অবস্থায় বিশেষ করে দিন এনে দিনে খাওয়া নিম্নআয়ের গরিব মানুষজনের আয়-রোজগারের পথ প্রায় অচল। অভাব-অনটন এবং শীতজনিত নানা রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধিতে চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন হতদরিদ্র মানুষেরা।