সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
ইতিহাসের আজকের এই দিন ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলাকে পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। মুক্তিবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পাক-হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর দিরাই থেকে পাক বাহিনী পালিয়ে যায়। দিরাই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুমসহ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলে জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় দিরাই। দিরাইয়ের কয়েকশ লোক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সেই সাথে সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তালেব উদ্দিনসহ ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে শহীদ হন। একাত্তরের এদিনে রণাঙ্গনের অবস্থা আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সম্মিলিত মিত্রবাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা হানাদার বাহিনী সূর্য ওঠার আগেই বিভিন্ন সীমান্ত ঘাঁটি থেকে পালাতে থাকে।
জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এর আগে ৪ ডিসেম্বর দিরাই উপজেলার শ্যামারচর, পেরুয়া, উজানগাঁও, দৌলতপুরসহ কয়েকটি গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পৈশাচিকভাবে ৩৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে পাক বাহিনীর দোসর রাজাকাররা। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল লড়াই ও তীব্র প্রতিরোধের মুখে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদররা দিরাই ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় মুক্ত হয় দিরাই।
সূত্র মতে, ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী। খবরটি জানাজানি হলে দিরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭ ডিসেম্বর সকালে দিরাইয়ে অবস্থানকারী পাক বাহিনীর উপর চর্তুদিক থেকে আক্রমণ শুরু করেন। তীব্র আক্রমণের মুখে লঞ্চযোগে দিরাই থেকে পাক বাহিনী পালিয়ে গেলে মুক্ত হয় দিরাই। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাইকে পাকহানাদার মুক্ত করার স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।