বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার :
আয়ের সাথে ব্যয়ের মিল না থাকায় দিরাইয়ের ক্রেতারা বাজারে গিয়ে পণ্য ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। পণ্যের মূল্য একেক দোকানে একেক রকম হওয়ায় ক্রেতারা ঠকছেন বলেও সরেজমিনে পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছ, সবজি, মুদি ও কাচামালের দোকান ভেদে ভিন্ন জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন দাম। একই আড়ত থেকে কাচামাল কিনে দোকানীরা বিক্রি করছেন বেশি মূল্যে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা ঠকানোর দৃশ্যটি স্পষ্ট। তবে ব্যবসায়িরা বলছেন তারা বেশি দামে কিনেছেন বলেই বাড়তি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, লেবু প্রকারভেদে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা হালি, পেয়াজ প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি, সোয়াবিন তেল বোতল ১৮৫ থেকে ২শত টাকা লিটার, পলি ১৪০ থেকে ১৯০ টাকা লিটার, ডাল প্রকারভেদে ৯৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি, আলু প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন প্রকারভেদে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ভেন্ডি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাচামরিচ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২শত টাকা, পাবদা (পুকুর) প্রতি কেজি ৪শত টাকা, ঘাসকার্প প্রতি কেজি ৩শত টাকা, কার্পো প্রতি কেজি ৩শত টাকা, সিলভার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ (বড়) প্রতি কেজি ৬শত টাকা ও মাঝারি প্রতি কেজি ৪শত টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২শত থেকে ২২০ টাকা, গোলা মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, কৈ মাছ (পুকুর) প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, বোয়াল প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৮শত থেকে এক হাজার টাকা, গনিয়া মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, মোরগ (ব্রয়লার) প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মাগুর (থাইল্যান্ড) ১৮০ টাকা।
কাচামাল ও সবজি আড়তে গিয়ে জানা যায়, কাচামরিচ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২৮ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ভেন্ডি প্রতি কেজি ২৮ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ২২ থেকে ২৫ টাকা, পেয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩২ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ১শত টাকা ও আদা প্রতি কেজি ২শত টাকা।
মৎস্য ব্যবসায়িরা জানান, তাদের বাজার দর নিয়মিত উঠানামা করে। ফলে পণ্যমূল্য সব সময় এক রকম থাকে না। তবে মুদি দোকানের ব্যবসায়িরা বলেছেন, গত এক সপ্তাহ আগে জিনিসপত্রের দাম আরও বেশি ছিল। বেশ কয়েকজন দিনমজুরের সাথে আলাপকালে জানা যায়, তাদের আয়ের সাথে বর্তমান ব্যয়ের ফারাক বেশি। বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় সব পণ্য কিনতে পারেন না বলেও তারা জানিয়েছেন।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি না। তবে আগামি সপ্তাহে আমি নিজে গিয়ে বাজার মূল্য পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এক প্রশ্নের জবাবে জানান, প্রতিটি মুদি দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা আপডেট থাকার কথা। যদি না থাকে, তবে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।