বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : পবিত্র কোরআন এবং কোরআনের ব্যাখ্যা পড়াতেন তিনি। তিনি ছিলেন ধ্রুপদী আরবি ভাষার শিক্ষক। পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন শেষে বেলজিয়ামের ভাষায় তিনি এই ঐশী গ্রন্থের অনুবাদ করতে শুরু করেছিলেন। অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। অধ্যাপক ড. সভেটান টিওফানভ। তিনি সফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ধ্রুপদী আরবি সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা কোরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা (তাফসির) নিয়েও গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। অধ্যাপক টিওফানভ অক্সফোর্ডের সেন্টার অব ইসলামিক স্টাডিজ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি মস্কোর অরিয়েন্টাল স্টাডিজ ইন্সটিটিউট থেকেও দ্বিতীয় ডক্টরেট করেন।
অধ্যাপক টিওফানভের ইসলাম গ্রহণের কাহিনী : বিশেষজ্ঞ হিসেবে ‘অনেক বছর আগে আমি রাষ্ট্রীয় প্রকাশনা সংস্থার অনুরোধে পবিত্র কোরআন অনুবাদ শুরু করি সেটা ছিল সমাজতন্ত্রের যুগ। অনুবাদের উদ্দেশ্য মুসলমানদের সেবা করা ছিল না, বরং তুর্কি নীতির সাথে আত্মীকরণ ছিল মুখ্য। অনুবাদ শুরুর পরপরই ১৯৮৯ সালে গণতান্ত্রিক উত্তরণ শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় প্রকাশনা সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যায়। ওই বছর আর কোরআনের বেলজিয়াম সংস্করণ (অনুবাদ) প্রকাশিত হয়নি। তবে আমি পবিত্র কোরআন অনুবাদের কাজ অব্যাহত রাখি এবং এটা আমার জীবনকে বদলে দেয়। আমি আমাদের মহিমান্বিত গ্রন্থ ভালোভাবে বুঝতে শুরু করি এবং মনেপ্রাণে একে কামনা করতে থাকি।’ ড. টিওফানভ বলেন, তিনি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষায় পড়াচ্ছেন। এটি তার তার সামনে বহু দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
‘প্রথমে যথন আমি (অনুবাদের) কাজ শুরু করি তখন একে আমার একটি সাধারণ গ্রন্থ বলেই মনে হয়েছিল। তবে সময়ের পরিক্রমায় আমি পবিত্র কোরআনের গূঢ়ার্থ বুঝতে শুরু করি। কলেজেও আমি পবিত্র কোরআন এবং এর ব্যাখ্যা পড়েছিলাম। কিন্তু যখন আমি প্রকৃত অনুবাদের কাজ শেষ করলাম তখন আমি আন্তরিকতা অনুভব করলাম। কোরআনকে আমি দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষা করলেও শেষ অবধি আমি ইসলাম গ্রহণ করি। আমি এখন একজন মুসলমান, বলেন অধ্যাপক টিওফানভ। ড. টিওফানভ বলেন, আরবি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তিনি এখনো লিখে চলেছেন। তার লেখা গ্রন্থ গত অক্টোবরে সেরা নির্বাচিত হয়েছে। তার গ্রন্থের কারণে ধর্ম সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সূত্র: ওয়ার্ল্ডবুলেটিন