বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
গত এক সপ্তাহ পর পৌষের শেষ দিকে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঘন কুয়াশা আর দমকা হাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে ছন্দপতন। দিনে তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াল হলেও রাতে ১৪ ডিগ্রিতে নেমে আসে। বৃষ্টির মতো টপ টপ করে কুয়াশা পড়ে। ভোর রাত ও সকালে ঘন কুয়াশায় দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষজন নিয়মিত কাজ করতে পারছে না। এই শীতে দেখা দিয়েছে নানা রোগ ব্যাধি। এরমধ্যে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, চর্ম রোগ ও ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। তীব্র শীতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আক্রান্ত হলেও বেশি হচ্ছে শিশুরা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যায়ও শিশুরা বেশি বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এরমধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি বলে জানা গেছে। হাসপাতালের ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শূণ্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন। আর বিভিন্ন বয়সী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জন। পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ভর্তি আছেন ১০-১৫ জন। এছাড়া প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক রোগী দিরাই হাসপাতালে সেবা নিচ্ছেন শীতজনিত বিভিন্ন রোগের। তাদের মধ্যে বয়ষ্করাই বেশি বলে সরেজমিন দেখা গেছে।
দিরাই উপজেলা সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রায়হান উদ্দিন জানান, এই শীতে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, চর্ম রোগ ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। এসব থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে ঠাণ্ডা না লাগানো, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, শীতবস্ত্র ব্যবহার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ গায়ে রোদ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।