রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : উপজেলা পরিষদের ১৬ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণের বেতন বিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর এবং জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এ সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিলের দাবিতে দিরাইয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও যৌক্তিকতা উপস্থাপন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাকৃচি, বিসিএস-২৬ ক্যাডার, নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস উপজেলা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ মোঃ কনকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অসীম সরকারের পরিচালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাজেদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামরুল আলম, ডা: সুমিত পুরকায়স্থ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বিশ্বজিৎ কৃষ্ণ চক্রবর্তী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভাস্কর তালুকদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বেতন বিল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ক্ষমতা প্রত্যাহার না করলে অন্যান্য দফতরের গেজেটেড কর্মকর্তাগণ তাদের আয়ন-ব্যয়ন, কর্মকর্তার ক্ষমতা ও মর্যদা হারাবেন। সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানগণ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ, জনবল ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ হারাবেন। নিজ মন্ত্রণালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম প্রতিপালন, বাস্তবায়ন দুরূহ হবে। একাধিক কর্মকর্তার স্বাক্ষরে আর্থিক পরিচালিত হওয়ার কারণে কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ও মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের দৌরাত্ব বাড়বে। উক্ত সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ তো হবেই না বরং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপজেলা পর্যায়ে অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতা বিষয়ক কার্যক্রম বিশেষ করে কারিগরি, প্রযুক্তি সম্পর্কিত ক্যাডারদের উপর অ-কারিগরি ক্যাডারদের খবরদারির ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। প্রফেশনাল ক্যাডার বা দফতরে নন-প্রফেশনাল ব্যক্তির অযাচিত হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পাবে। অফিস প্রধান হিসেবে একজন গেজেটেড কর্মকর্তার আইনানুগ স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বিনষ্ট হবে। তাই সরকারের অর্থনৈতিক, সামাজিক তথা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অর্জনের জন্য উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করে উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য বেতন বিলে শুধুমাত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ক্ষমতা প্রদান ও ২০১৫ পে-স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পূর্ণবহালের দাবি জানানো হয়।