শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
দিরাই পৌরসভা নির্বাচন: বিএনপির মরণ কামড়, আওয়ামীলীগের প্রেস্ট্রিজ ইস্যু, দিশেহারা ভোটার

দিরাই পৌরসভা নির্বাচন: বিএনপির মরণ কামড়, আওয়ামীলীগের প্রেস্ট্রিজ ইস্যু, দিশেহারা ভোটার

asabs-meyorpartipic-24-12-2015মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : দেশের ভোটার ও জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত; কেউ বিএনপির সাথে যুক্ত বা জড়িত আবার কেউ আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত ও সমর্থিত। আবার ভোটারদের মধ্যেও দুই পক্ষ; কেউ সরব আর কেউ নীরব। সব মিলিয়ে নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের প্রধান ভূমিকায় থাকে নীরব ভোটার-এমনই মন্তব্য দিরাই পৌরসভার অধিকাংশ ভোটারদের। তবে তারা অনেকটা গোপনে থেকেই পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালনসহ পরিবর্তনের একটি বিরাট নেপথ্যের নায়ক।
দিরাই পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর এবার হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন; প্রথম নির্বাচনে পৌর পিতা হিসেবে অভিষেক ঘটে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও এলাকার গণ্যমান্য হিসেবে পরিচিত বিএনপির হাজী আহমদ মিয়ার। দ্বিতীয় নির্বাচনে পৌরসভার অভিভাবক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন লণ্ডন প্রবাসি ও বিশিষ্ট দানবীর আজিজুর রহমান বুলবুল। আর এবার অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনে কে আসেন পৌরসভার কাঙ্খিত মেয়র হিসেবে, সেটি দেখার জন্য উদগ্রিব পৌরবাসি। আগামি ৩০ ডিসেম্বর ভোটারগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটারাধিকার প্রয়োগ করে আরো ৫ বছরের জন্য পৌর পিতা নির্বাচন করবেন।
দিরাই উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে মেয়র পদে ৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেন, এরমধ্যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি (এরশাদ) ও জাসদ থেকে ১ জন করে। এছাড়া সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১০ জন। তবে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বলে জানান সচেতন ভোটারগণ।
দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ধানেরশীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দিন চৌধুরী মাসুক, নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশাররফ মিয়া, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয়পার্টি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক সরদার ও মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের মনোনীত প্রার্থী মোজাম্মিল হোসেন।
asabs-nariএছাড়া মহিলা কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত ১নং আসনের বর্তমান কাউন্সিলর সাবিনা বেগম (আঙ্গুর), কোশনামা বেগম (কাঁচি) ও শাহারভানু (হারমোনিয়াম)। সংরক্ষিত ২নং আসনের বর্তমান কাউন্সিলর রেহেনা বেগম (ভ্যানেটিব্যাগ), আলীমুন নেছা (পুতুল) ও হেলেনা বেগম (কঁাঁচি)। সংরক্ষিত ৩নং আসনের বর্তমান কাউন্সিলর শামীমা পারভিন নাজমা (ভ্যানেটিব্যাগ), হেলেনা বেগম খেলা (আঙ্গুর), বাসন্তী সরকার (কাঁচি) ও মাধবী দে (পুতুল) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
as-purushনির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মোশাহিদ মিয়া (গাজর), মিয়াধন মিয়া ইদন (উটপাখি), আতিকুর রহমান (ডালিম), কয়ছর মিয়া (পানির বোতল) ও ময়না মিয়া (পাঞ্জাবি)। ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নিকেশ রঞ্জন সরকার (পাঞ্জাবি), আব্দুল হক মিয়া (উটপাখি) ও এবিএম মাসুম প্রদীপ (পানির বোতল)। ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নিবেশ রায় (উটপাখি), হাবিবুর রহমান কাছা (পানির বোতল) ও জাহেদুল ইসলাম (পাঞ্জাবি)। ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মিজানুর রহমান (ডালিম), মফিজুর রহমান তালুকদার জুয়েল (পানির বোতল), সোহেল মিয়া (উটপাখি) ও নবীর হোসেন তালুকদার (পাঞ্জাবি)। ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক তালুকদার (পানির বোতল), জাহাঙ্গীর মিয়া (ডালিম), নুর মিয়া (উটপাখি), আব্দুল মতিন (গাজর) ও সুব্রত চৌধুরী শিতু (পাঞ্জাবি)। ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ইয়াহিয়া চৌধুরী (টেবিল ল্যাম্প), হিরেন্দ্র দেবনাথ (পাঞ্জাবি), শরবিন্দু দাস (ব্রিজ), পংকজ পুরকায়স্থ (উটপাখি), শাহজাহান সিরাজ (ডালিম) ও কনিক চৌধুরী (পানির বোতল)। ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ রায় (পানির বোতল) ও বদরুল ইসলাম সেলিম (উটপাখি)। ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জয়নুল হক চৌধুরী (ডালিম), সোহেল মিয়া (পানির বোতল), আবুল কাশেম (পাঞ্জাবি), এমরান হোসাইন (উটপাখি) ও সফিক মিয়া (ব্রিজ)। ৯নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান (পাঞ্জাবি), শাহজাহান মাহমুদ হেলাল (উটপাখি), লিয়াকত আলী (ব্রিজ), বেলাল মিয়া (পানির বোতল), সোহেল মিয়া (ডালিম) ও সবুজ মিয়া (টেবিল ল্যাম্প)।
এদিকে পৌরসভার এ বছর মোট ভোটার হচ্ছে ১৮ হাজার ৬৭৪ জন, এরমধ্যে চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯০ জন, পূর্বদিরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৮১৪ জন, দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৩৫ জন, রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ১১ জন, রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৫৯ জন, শুকরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৬৫৩ জন, দিরাই ইসলামিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৮৬ জন, দিরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ১৭১ জন, হাজী মাহমদ মিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৮৪ জন, সুজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৬৬ জন, ভরারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৮৩ জন ও দিরাই ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১ হাজার ৪২২ জন তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীনত প্রার্থীই ছিলেন বিজয়ী, কিন্তু ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশও করেছে বিএনপি। কিন্তু ক্ষমতায় যেহেতু আওয়ামীলীগ, সেই কারণে তা আর বেশি দূর আগায় নি এ আলোচনা। এখনও সাধারণ ভোটারগণ আগের বারের নির্বাচন মনে করলে এ বছরের নির্বাচন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন। তবে তারা আশাবাদি, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী শতভাগ ভোট পেয়েই বিজয়ী হবে।
সূত্র মতে, পৌরসভা প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন দিরাইয়ের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ও বিএনপি মনোনীত হাজী আহমদ মিয়া। সে সময় আওয়ামী ঘরণার চার জন প্রার্থী ছিলেন, এ জন্য বিএনপি প্রার্থীর বৈতরণি পার হতে বেগ পেতে হয়নি। বিগত নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ মাত্র ২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ফলে দ্বিমুখি লড়াইয়ে দিরাই-শাল্ল¬ার সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মনোনীত লণ্ডন প্রবাসি আজিজুর রহমান বুলবুল ও এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই মঈন উদ্দিন চৌধুরী মাসুককে সর্বসম্মতিক্রমে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার আসনে নিয়ে যান। নির্বাচনের পর নাছির উদ্দিন চৌধুরী একাধিক জনসভায় তার প্রার্থীকে কৌশলে হারানোর অভিযোগ করেছেন।
এ বছর অনুষ্ঠিতব্য ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কার গলায় পৌরসভার মেয়রের মালা ওঠে, এ নিয়ে দিনরাত আলোচনা চলছে। প্রার্থী-সমর্থক ও হিতাকাঙ্খীরা পৌরসভার অলি-গলিতে চষে বেড়াচ্ছেন আর নিজ পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোট ভিক্ষা চাইছেন। সমাজের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাসহ সকল শ্রেণি ও মতবাদের মানুষের সাথে মতবিনিময় ও কোলাকুলি করছেন প্রার্থী নিজেই। ফলে এক রকম ভিন্ন আমেজ বিরাজ করছে পৌরসভার সর্বত্র। যিনি কোনদিন একজন ভোটারকে পাত্তা দেননি, শুধুমাত্র নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে বুকের সাথে বুক মিলিয়ে কথা বলছেন। তবে এ পরিবেশ যে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে থাকবেনা, একজন ভোটার হিসেবে সবাই তা অনুভব করেন।
এদিকে এ বছর নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে বিএনপি মড়ণ কামর দিবে বলে জানা গেছে, আর প্রেস্ট্রিজ ইস্যু বাঁচাতেও মরিয়া আওয়ামীলীগ। আর ভোটারদের নীরবতা ভোটে জয়-পরাজয়ের ব্যাপারটাকে আরো ঘোলাটে করছে। কারণ, অনেক ভোটার মনে করেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো না থাকায় তারা মুখ খুলে কথা বলতে পারছেন না। আর ভোট দেয়ার বিষয়ে জানাজানি হয়ে গেলে নানা সমস্যা দেখা দিবে। ফলে এক রকম নীরবতার মধ্য দিয়েই তারা ভোটের বিপ্লব ঘটাবেন। আর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার ব্যাপারে কৌশলী ভোটারগণও পরিস্থিতি আঁচ করে নিচ্ছেন। তবে তারা মনে করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সাধারণ ভোটারগণ তাদের ভোটারাধিকারটি প্রকৃত স্থানেই প্রদান করতে পারবেন।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভাটি এখন ‘গ’ ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত হয়ে ‘খ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে। যদি ভালো কোন অভিভাবক পৌরবাসি পায়, আর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে, তবে তা ‘প্রথম’ শ্রেণির পৌরসভা হতে বেশি দিন লাগবেনা। সেজন্যই ভোটারগণ অনেক হিসাব-নিকাশ করছেন। সর্বশেষ এ পৌরসভায় ১৮ হাজার ৬৭৪ জন ভোটার রয়েছেন, এরমধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৪৩৫ জন ও নারী ৯ হাজার ২৩৯ জন।
দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে জাসদ থেকে মনোনীত মশাল প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মোজাম্মিল হক বলেন, যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তবে ভোটাররা আমার গলায়ই জয়ের মালা পড়িয়ে দেবে, এ নির্বাচনে ভোটারগণ নীরব বিপ¬ব ঘটাবে। তিনি পৌরসভার ১নং সেন্টারকে ঝুঁকিপূর্ণ বললেও কোন লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানান নি। তবে ভোটাররা সাধারণত সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে আতংকিত আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাতীয়পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক সরদার বলেন, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদি, সবগুলো সেন্টারই আমার অনুকূলে আছে, ফলে আমার দৃষ্টিতে কোন ঝুঁকিপূর্ণ নেই, তবে কিছু জায়গায় ঝামেলা হতে পারে, তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলেও জানান।
আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ মোশাররফ মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভাই ও সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরী আমার ও দলের ব্যাপারে ভরারগাঁও ও সুজানগর মির্টিং করে খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনকে অবগত করেছি, প্রয়োজনে আবারো জানাবো। ১২টি সেন্টারের মধ্যে ভরারগাঁও ও রাধানগর সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং আমাকে পৌরবাসি বিপুল ভোটে বিজয়ী করে জয়ের মালা পড়াবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন চৌধুরী (মাসুক) বলেন, দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ এবং ভোটও সুষ্ঠু হবে বলে আমি আশাবাদি। তবে ১, ২ ও ৩নং সেন্টারকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারে কাছে লিখিত দিয়েছি।
দিরাই পৌরসভা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে বলে জানান দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান। তিনি জানান, ১৩০ জন পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে আনসার, ভিডিপি, র‌্যাব ও বিজিবি এবং সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স। ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে রাধানগর, দিরাই হাফিজিয়া মাদরাসা, ভরারগাঁও ও দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
দিরাই পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, ইতিমধ্যে নির্বাচনী আয়োজনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ি আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তিনি আরো জানান, নির্বাচনে যে কোন ধরণের আইন-শৃঙ্খলার পরিণতি ঠেকাতে ৮ জন ম্যাজেস্ট্রিট কাজ করবেন। তিনি আশাবাদি, সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে দিরাই পৌরসভায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
উল্লেখ, মনোনয়নপত্র প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন কোনো প্রার্থীই তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় সকলের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস। সূত্র জানায়, দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিল পদে ৩৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীরা উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনে কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ি পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, বাচাই ৫-৬ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ শনি ও রোববার, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ রোববার, প্রতীক বরাদ্ধ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার ও ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com