বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : আজ সোমবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটের দিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ। তখনো ফজরের আযান হয়নি। ভূমিকম্পের প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে জেগে উঠেছে ঘুমন্ত মানুষ। চোখে ঘুম নিয়েই ভয়ে-আতঙ্কে বাসি-বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে তারা এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে।
ভূমিকম্পের পর পরই এর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও। ফজরের আযানের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ভূমিকম্প হওয়ায় কেউ কেউ নিজের ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এটাকে ফজরের নামাজের এলার্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
রেজা রহমান নামে একজন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ভূমিকম্প নয়, এটি হচ্ছে ফজরের নামাজের এলার্ম। আজ ফজরের জামায়াতে মসজিদে গিয়ে দেখি চতুর্থ কাতারেও স্থান পাচ্ছিনা। যেখানে প্রতিনিয়ত দুই কাতার হওয়াঠাই কঠিন। যারা শুধুমাত্র শবে কদর নয়, শবে বরাতের দিন ফজরের নামাযে আসত, তাদেরকেও আজকে দেখা গেল ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামায়াতে আদায় করতে। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের প্রকৃত মুমিন না বানিয়ে কবরে ডাক দিওনা।
মোস্তাক সরকার নামে একজন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আজানের মধুর সূর বিছানা থেকে আলাদা করতে না পারলেও ভোরের দিকের এই ভূমিকমপ দলেদলে লোকদের রাসতায় নামিয়েছে কত সহজে!!
নাছির উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, আজ ঠিকই ফজরের আগে তোমার ঘুম ভেঙ্গেছে। প্রতিদিন তুমি কী আরামছে না ঘুমাও।
সাংবাদিক বাসির জামাল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আল্লাহ সুবহানুতায়ালা আমাদের সকলকে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন। ফজরের নামাজের আগে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন, দুনিয়ায় যখন্ জালেমদের জুলুম বেড়ে যায়, তখনই আল্লাহ ভূমিকম্পসহ নানা বিপর্যয় জমিনে পাঠান। আল্ল্হা আমাদেরকে তাঁর গোলামী করার তৌফিক দিন।
মেসবাহ উদ্দিন নামের একজন লিখেছেন, আজ ভোর ৫.৬ মিঃ এর সময় হঠাৎ দেশ কেপেঁঁ উঠল !!! অনেকেই ঘুমের ঘোরে তড়িঘড়িকরে আহত !!! মসজিদে গিয়ে দেখি যাকে কোনদিনই ফযরের নামাজে পাইনা !! আলহামদুলিল্লাহ সেও হাজির !! বুজতে দেরি হলো না ঠেলার নাম বাবাজী আল্লাহ রক্ষাকর !! আমাদের ক্ষমা কর প্রভূ এবং আমাদের অপরাধের জন্য আমাদের ধ্বংস করে দিওনা ….(ভয়াবহ ভূমিকম্পর পর সবার নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করছি)
শরীফ আব্দুল্লাহ নামে একজন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, যারা কখনো ফেসবুকে আল্লাহর নাম নেয়নি, তারা আজ আল্লাহর নাম নিতে ভুল করেনি।
হাকিম সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ নামে একজ তার দাদার বরাত দিয়ে লিখেছেন, বিগত ১১০ বছরের মধ্যে নাকি এমন ভূমিকম্প দেখেননি।