রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
আসল’ বিএনপির কান্ডারীঃ জানেন কে এই কামরুল হাসান নাসিম?

আসল’ বিএনপির কান্ডারীঃ জানেন কে এই কামরুল হাসান নাসিম?

আমার সুরমা ডটকম : হঠাৎ করেই রাজনীতির অঙ্গনে আলোচিত একটি নাম কামরুল হাসান নাসিম। যিনি নিজেকে দাবি করছেন আসল বিএনপির কান্ডারী হিসেবে। বর্তমানবিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ মুখপাত্র তারেক জিয়াকে বিএনপিতে অযাচিত ঘোষনা করে নিজেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আসল সৈনিক আখ্যায়িত করে নিজেকে দাবি করছেন ‘আসল’ বিএনপির কান্ডারী হিসেবে।

কিন্তু কে এই কামরুল হাসান নাসিম কি-ই বা তার উদ্দেশ্যে, অনুসন্ধানে তার প্রাথমিক পরিচয়ে জানা যায়, ২০১০ সালে ‘গড়বো বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে কামরুল হাসান নাসিম নামটি সবার সম্মুক্ষে আসে । এই সংগঠনের মুখপাত্র তিনি। বিএনপির প্রয়াত নেতা ওবায়েদুর রহমানের স্ত্রী শাহেদা ওবায়েদ এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এমন শোনা গেলেও নাসিম নিজেকে এর প্রতিষ্ঠাতা মুখপাত্র দাবি করেছেন।

সম্প্রতি বিএনপির ক্রান্তিকালীন রাজনীতির ‘মুখপাত্র’ দাবি করে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত ‘আসল’ বিএনপি গড়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। নিজেকে কৃষক দলের সদস্য বলেও দাবি করেছেন। তবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল বলেছে, কামরুল হাসান নাসিম নামে কোনো ব্যক্তি কৃষক দলের কেউ নয় । কৃষক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা কৃষক দলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, কামরুল হাসান নাসিম নামে কোনো ব্যক্তি অতীতে কোনো দিন কৃষক দলের কোনো পর্যায়ের পদ তো দূরের কথা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না এবং বর্তমানেও নেই।

‘আসল’ বিএনপি সম্পর্কে কামরুল হাসান নাসিমের সঙ্গে খোলামেলা কথা হয়েছে। কিসের উপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে আসল বিএনপি বলে দাবি করছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যেভাবে বিএনপিকে শুরু করেছিলেন বহুদলীয় গনতন্ত্র নিয়ে, বিএনপির মধ্যে এখন সেই গণতন্ত্র নেই। খালেদা জিয়া এখন ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করছেন। এক থেকে দুজন ব্যক্তি দলের সিদ্ধান্ত নেয়। খালেদা জিয়ার উপরদেশের জনগনের আস্থা। এই আস্থা দলের চেয়ারপার্সন হওয়ার কারনে। কিন্তু এখন জনগনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রাজনীতি দেখা যাচ্ছেনা বিএনপি এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের মধ্যে। বিএনপির মধ্যে এখন রাজনৈতিক শক্তি থেকে রাজনৈতিক অপশক্তি হয়ে যাওয়া ভাব। বিএনপি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তার পরিবর্তনের দরকার। তাই আমি সকল পর্যায়ে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

‘আসল’বিএনপি নিয়ে তার লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যে ভিশন দাঁড় করিয়েছে তার থেকে ভাল কিছু বাংলাদেশের জনগণকে দিতে হবে। সেই কথাটাই আমরা বলতে চাই। দলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা এবং বাংলাদেশ ২০১৫ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হয় এই ব্যাপারে আমাদের দল কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়ে জনগনের কাছে আমাদের ভিশন দাঁড় করাব।

এদিকে ইতিমধ্যে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দলের চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করে কমিটি ভেঙে না দিলে পরের দিন জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত আসল বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যদি পদে বহাল থাকেন তাহলে ৩ ফেব্রুয়ারি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত ঢাকা মহানগরীর সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে নিয়ে কলম-খাতা হাতে নিয়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসারে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। অবৈধ নেতৃত্বের পরিসমাপ্তি নিশ্চিত করে ওইদিনই জিয়ার বিএনপিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

এছাড়া তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানা যায়, তিনি জননেতা ডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের এডিটর ইন চিফ। সেই সুবাদে নিজেকে সাংবাদিক ও গবেষক পরিচয় দেন। জননেতা ডটকম পোর্টালের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জননেতা ডটকম ২০১৩ সালের আগস্টে আমি শুরু করি। এটা একটি বিশেষায়িত পোর্টাল। এর কার্যালয় বনানীতে। বারিধারায় জননেতা রিসার্চ সেন্টার নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে সমসাময়িকরাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি ও উন্নততর রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা হয়। আমি বিশ্বাস করি আগামি ৬ মাসের মধ্যে এটা বাংলাদেশের প্রথম সারির অনলাইন হবে।

কামরুল হাসান নাসিম ফেসবুক প্রোফাইলে তার জন্ম ২-রা এপ্রিল ১৯৭৭ উল্লেখ করেছেন এবং গ্রামের বাড়ি যশোর উল্লেখ করেছেন। চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি হাইস্কুলে তার পড়াশুনা, ‘গড়বো বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র। তিনি জানান, ২০১২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার স্পেশাল এডিটর (বিশেষ সম্পাদক) ছিলেন তিনি।

কামরুল হাসান দাবি করেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০০২ সালের নির্বাচনে তিনি যশোর থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু জোটের স্বার্থে আসনটি জামায়াতকে দেয়া হয়। যদিও এরপরই এক এগারোর ঘটনা ঘটে। মূলত এরপরই রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন বলে জানান তিনি। সূত্র : ইউরো বিডি নিউজ থেকে সংগৃহীত

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com