আমার সুরমা ডটকম ডেক্স :
কথায় বলে শখের তোলা ৮০ টাকা। এবার লন্ডনের সেন্ট্রাল রোডে রিকশায় চড়তে গিয়ে সেই শখের খেসারত দিতে হলো এক যাত্রীকে। তিন মিনিট রিকশায় চড়ে গুনতে হলো ২০৬ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ২৫ হাজার।
ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়া একজন পথচারীর ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, গত বুধবার সেন্ট্রাল লন্ডনের অক্সফোর্ড থেকে মার্বল আর্চে শখেরবসে রিকশায় চড়তে গিয়ে যাত্রী ও রিকশা চালকের মধ্যে বচসা হয়। তাতে পুলিশ পর্যন্ত আসে, এবং শেষ পর্যন্ত মেয়র বরিস জনসন পর্যন্ত গড়ায়। জানা যায়, ওই সময় রিকশার একজন যাত্রীর কাছ থেকে তিন মিনিটের রাস্তা ভ্রমণের জন্য ২০৬ পাউন্ড দাবি করলে বচসা শুরু হয়।
লন্ডনের রাস্তায় রিকশা চালানোর জন্য যেমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই, তেমনি কোন বাধা বিপত্তিও নেই। এই সুযোগে বিভিন্ন উৎসব পার্বনে কেউ কেউ বিশেষ করে অক্সফোর্ডে রিকশা চালিয়ে থাকেন এবং উচ্চ হারে ভাড়া হাঁকিয়ে থাকেন। বুধবারের ঘটনায় পুলিশ উপস্থিত হলেও, যেহেতু মালিক বা চালক নিয়মের কোন ব্যত্যয় করেননি তাই পুলিশ কোন একশন নেয়নি।
এ সময় একজন পথচারী মোবাইলে উভয় দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে আপলোড করে প্রচার করলে লন্ডনের মেয়র অফিস নড়ে চড়ে বসেন। লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন বলেন, তিনি চান রেগুলটরি সংস্থার মাধ্যমে এই পেডিক্যাবকে নিয়ন্ত্রণ বা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে। যেহেতু কোন নিয়ম নেই, তাই এটাকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার জন্যে তিনি চান ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন ( টিএফএল) এর মাধ্যমে এই পেডিক্যাব বা রিকশা নিয়মের মধ্যে নিয়ে এসে রেগুলেশনের মাধ্যমে চালাতে, যাতে এটা চালানোর জন্য লাইসেন্সসহ অন্যান্য নিয়ম কানুন আরোপ করা হয়। বর্তমানে এই রিকশা চালানোর জন্যে লন্ডনে কোন লাইসেন্স বা নিয়ম নেই। ড্রাইভার ভ্রমণ শেষে যাত্রীর কাছে যে কোন ফেয়ার দাবি করে থাকে ইচ্ছে মতো।
মেয়র চাচ্ছেন এক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থায় বা গাড়ির মতোই নতুন নিয়ম আরোপ করতে লন্ডনের মেয়র আগে এর বিরোধিতা করলেও বর্তমানে একে নিয়মের আওতায় নিয়ে আসার পক্ষপাতি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বেসরকারি লন্ডন পেডিক্যাব অপারেটর্স এসোসিয়েশন গঠিত হয়েছে, যেখানে কোড অব কনডাক্ট, কোড অব প্র্যাকটিস সাইন করেছে।
আশার কথা, লন্ডন মেয়র এবং ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) যখন এক্ষেত্রে শরিক হয়েছেন, তখন এই রিকশা বা পেডিক্যাব লন্ডনের রাস্তায় নিয়ম মেনে আইনগতভাবে যে চলবে এবং এক্ষেত্রে যে নতুন এক কালচার চালু হতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বাংলার এই পুরনো রিকশা লন্ডনের রাস্তায় বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।
শাহ সেলিম