শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারক রোববার সন্ধ্যায় বলেন, তার লেখা রায় ও আদেশ গ্রহণ করতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ‘রাজি হয়েছেন’। বিচারপতি শামসুদ্দিন অবসর নেয়ার আগে আপিল বিভাগের যে বেঞ্চে ছিলেন, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সেই বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারক। অবসরের পর বিচারকদের রায় লেখার বিরোধী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নির্দেশনার পর বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা তার লেখা রায় গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বলে সকালেই অভিযোগ করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। অবসরের পর তার লেখা ১৫টির মতো রায় এবং আদেশগুলো নিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির আচরণকে ‘সংবিধানপরিপন্থিও’ বলেন তিনি। চিঠি পাঠানো এবং রায় না নেয়ার অভিযোগ তুলে ধরে বিচারপতি শামসুদ্দিন সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসে। তাতে প্রধান বিচারপতি চার মাস আগে অবসরে যাওয়া বিচারপতিকে রায় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা না বলার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তার কাছে থাকা ‘অনিষ্পত্তিকৃত’ রায়ের মামলার ফাইলগুলো সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে জমা দেবেন বলেও প্রত্যাশা করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর সন্ধ্যায় বিচারপতি শামসুদ্দিন রায় জমা দিতে পারছেন জানিয়ে বলেন, “বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার সঙ্গে আগে মৌখিক কথা হয়েছিল, রায় ও আদেশ গ্রহণ করা নিয়ে, তখন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। তাই এগুলো জমা দেয়ার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারেনি।”