মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : প্রতিষ্ঠানের নামের বানান ভুলের কারণে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬০ কোটি টাকা। বানান যাচাই করতে জানানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। এরই মধ্যে ঘটনাটি আলোচিত হওয়ায় অর্থগুলো আটকে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এমন তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অন্যদিকে ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থ লেনদেনে কোন ভুল না হওয়ায় ৮১ মিলিয়ন ডলার দ্রুত ছাড় করতে পারে হ্যাকার গ্রুপ। অর্থগুলো বর্তমানে হংকেং নিয়ে গেছে হ্যাকাররা। জানিয়েছে ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যমগুলো।
টাকা চুরির পরে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের একাউন্টটি হ্যাকড হয়েছে গত ৫ ফেব্রুয়ারি। হ্যাকড হওয়া অর্থের পরিমাণ হচ্ছে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে ৮১ মিলিয়ন যায় ফিলিপাইনে। বাকি ২০ মিলিয়ন শ্রীলঙ্কায়। অর্থ পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে যে ২০ মিলিয়ন ডলার গিয়েছিল, সে অর্থ আমরা ইতোমধ্যে ফেরত পেয়েছি।
শ্রীলঙ্কায় পাচার হওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্টে জমা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শুভঙ্কর সাহা প্রথমে জমা হয়েছে বলেই পুনরায় বলেন, এখনও জমা না হলেও সেটি জমা হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, চুরি হওয়া টাকার মধ্যে ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কার একটি এনজিওর নামে ছাড় করতে আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে এনজিওটির নামের শেষে লেখা হয় Foundation শব্দটি। ওই এনজিওটি শ্রীলঙ্কান ভাষার উচ্চারণ মিল রাখতে গিয়ে Foundation শব্দটি লেখে Fandation।
শেষের শব্দের বানান না মেলায় শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ ছাড় করেনি। সুইফট প্রক্রিয়ায় লেনদেনের সময় প্রতিষ্ঠানের নামের ক্ষেত্রে হুবহু লিখতে হয়। দাড়ি, কমা, কোলন পর্যন্ত মিলিয়ে দেখা হয়। নামের বানান যাচাইয়ে ব্যাংকিং রীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সঠিক নাম লেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায় শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরমধ্যেই টাকা চুরির বিষয়টি জানা জানি হয়ে যাওয়ায় ২০ মিলিয়ন ডলার জব্দ করে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। টাকা গুলো এনজিওর নামে ছাড় করা হয়নি। ফলে, এ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ফেরত পাবে বলে জানা গেছে।