বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। একইসাথে ঘূর্ণিঝড় ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দেয়। আবহাওয়া অধিদফতরে রোববার কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগর থেকে এক বা দু’টি নিম্নচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে একটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এ মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ দিন বজ্রসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ও দেশের অন্যত্র ৪ থেকে ৫ দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং অন্যত্র এক থেকে দু’টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ এর চেয়ে বেশি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। চলতি মাসে দেশে নদ-নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এটিতে আরো বলা হয়েছে- দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মার্চে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বায়ুপ্রবাহের সংযোগ ঘটায় এ মাসের তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ অনেক স্থানে বজ্রঝড়সহ ভারি বর্ষণ হয়। মার্চ মাসে সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত, বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত ও অন্যান্য বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড় হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনে বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাবে। রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজশাহীতে ১০২ মিলিমিটার।