শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : গণমাধ্যম ও সাংবাদকর্মীদের জীবনে এমন দুর্দিন আর কখনো আসেনি মন্তব্য করে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বিচ্ছিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ফলপ্রসূ হবে না। দল-মতের উর্ধে উঠে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেই অধিকার আদায় করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের মত প্রতিষ্ঠান নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা সাংবাদিকরা মানতে বাধ্য নয়। অবিলম্বে সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ধারাবাহিক সমাবেশের দ্বাদশ দিনে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক সাংবাদিক ইউনিয়নের(ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের অবিলম্বে মুক্তি, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া, সাগর-রুনীসহ সব সাংবাদিকের খুনীদের গ্রেফতার ও বিচার, নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের দাবীতে এ সাংবাদিক সাবেশের আয়োজন করে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফারের সভাপতিত্বে এবং বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে’র মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মোহসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ ও কবি কামার ফরিদ, সাংবাদিক নেতা শেখ রকিব উদ্দিন, আবুল কালাম মানিক, ফয়েজ উল্লাহ ভূইয়া, শাহীন হাসনাত, খন্দকার আলমগীর হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন, মতিউর রহমান সরদার প্রমুখ।
বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমেই সাংবাদিকদের ন্যায়সংগত দাবী মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। অভিন্ন দাবী নিয়ে বন্ধুপ্রতীম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে স্টীয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে। সে প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যম খুলে হাজার হাজার বেকার সাংবাদিককে দু:সহ জীবন থেকে মুক্তি দিতে হবে। সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদকে মুক্ত করে আনা হবে। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে ৭৩তম মামলায় আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। ওই মামলাটি যখন করা হয়েছে তখন তিনি জেলে ছিলেন। এভাবে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রাখার জন্য আইন-আদালতকে খেলো করে ফেলা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে পারে না।
এম এ আজিজ বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। দেশে সব শ্রেণির মানুষের খুন-নির্যাতনের বিচার হলেও সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার হয় না। সরকার পরিবর্তন হলে যে বিচার হবে তারও গ্যারান্টি নেই। অতীতে শেখ বেলাল উদ্দিন হত্যার বিচার আমরা পাইনি। তিনি অভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, কারারুদ্ধ সাংবাদিকদের মুক্তি, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও সাগর-রুনিসহ সাংবাদিক হত্যার বিচার এবং নবম ওয়েজবোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেন, সাংবাদিকদেরকে ভয় দেখিয় লাভ হবে না। কোন বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানকে সাংবাদিক সমাজ ক্ষমা করবে না। সাংবাদিকদের প্রিয় সংগঠন ডিইউজে কার্যালয় যেমন আছে তেমনই থাকবে। কেউ যদি পূণরায় এদিকে নজর দেয়, এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। আমরা অনেক ধৈর্য্য ধরেছি, এরপর দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ১১টায় সমাবেশ : ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আবারও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ইউনিয়ন কার্যালয়ে সাংবাদিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সকলকে উপস্থিত থাকতে ইউনিয়ন নেতারা অনুরোধ জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি