শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের ইন্তেকাল

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের ইন্তেকাল

মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার :
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সেখানেই তিনি মারা যান ভারতের পরমাণু প্রযুক্তির জনক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (৮৩)। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাকে মৃত বলে ঘোষণা করার পরই শোকে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে ভারতসহ গোটা বিশ্ব। সূত্র : পিটিআিই
জানা যায়, শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের একটি অনুষ্ঠানে ‘বি-স্কুলের’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কালাম। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে। বক্তৃতার মাঝে হঠাৎ করে পড়ে যান তিনি। পরে তাঁকে স্থানীয় বেতানি সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করেন এবং সেখানেই তিনি মারা যান। তিনি ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসেবেও তার বেশ পরিচিতি ছিল। এই বিজ্ঞানী একাধিকবার বাংলাদেশ সফরেও এসেছিলেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম পদার্থবিদ্যা ও এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করেন। দীর্ঘ চার দশক ধরে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্ত ছিলেন ইন্ডিয়ান স্পেশ রিসার্চ অর্গানাইজেশনের সঙ্গেও। ভারতের ‘মিশাইল ম্যান’ নামে এক সময় জনপ্রিয়তা লাভ করেন মরহুম বিজ্ঞানী। ২০০২ সালে (২০০৭ পর্যন্ত) বিজেপি সরকারের আমলে ভারতের একাদশতম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ভারতরতœ সম্মানেও ভূষিত হন আব্দুল কালাম। শিক্ষাজগতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন এই পরমাণু বিজ্ঞানী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট বার্তায় এপিজে আব্দুল কালামের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন সমগ্র গোটা প্রজন্মের জন্য একটি প্রণোদনা।
উল্লেখ্য, মহাকাশ বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের কেশবপুরে জন্ম হয়। গত ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ভারতের সাবেক এ রাষ্ট্রপতি মহাকাশ বিজ্ঞানী ছাড়াও নানামুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি লেখালেখিও করতেন। তার নিজের লেখা বইয়ে তিনি ব্যক্তিগত অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি তার বইয়ে লিখেছেন, “ছেলে বেলায় কেশবপুর গ্রামে পাখিদের আকাশে উড়তে দেখে নিজেও আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি লিখেছেন, কেশবপুরের তিনিই প্রথম ব্যক্তি যে প্রথম আকাশে উড়েছিলেন।” সূত্র : জি নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি ও এএফপি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com