বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : বিদায় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, স্বাগত ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। বর্ষপঞ্জির পাতা থেকে কালের আবর্তে হারিয়ে গেল আরো একটি বছর; আজকের সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথেই আমরা একটি বছরকে পেছনে ফেলে নতুনের দিকে এগিয়ে যাব। কত স্মৃতি-বিস্মৃতি বিজড়ির ১৪২২ বঙ্গাব্দ এখন থেকে শুধুমাত্র ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনের তাগিদে হয়তোবা কেউ কেউ ফিরে যাবেন ক্ষণিকের জন্য পুরাতনে; কাজ উদ্ধার হওয়ার সঙে সঙেই নতুনের সাথে পথচলা। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, পুরাতন মানেই হারিয়ে যাওয়া নয়; বরং পুরাতনকে স্মরণ করে নতুনকে সাথে নিয়ে আর ভবিষ্যতকে পুঁজি করে সামনে এগিয়ে চলাই হবে প্রকৃত বুদ্ধিমানের সম্ভল।
বাংলা সনের ইতিহাস কমবেশি সবাই জানি; আবার নতুন করে বলে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয়না। তারপরও একটু বলে দেয়া প্রয়োজন। মুসলিম শাসক বাদশাহ আকবরের সময়েই উপমহাদেশের মানুষের বিশেষ প্রয়োজনেই বাংলা সনের উদ্ভব ঘটান। এরপর থেকে উপমহাদেশ তথা বাংলা ভাষা-ভাষীদের জন্য তা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে চলে আসছে। তবে আজ আর এই বাংলা ভাষা বা সন উপমহাদেশে সীমাবদ্ধ নেই, আন্তর্জাতিক অঙনেও এর বিস্তৃতি রয়েছে। জাতিসংঘ বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ঘোষণা করেছে। ফলে নতুন করে বাংলা ভাষা কিংবা সনকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই।
হাসি-কান্না; সুখ-দু:খ আর স্মৃতি বিজড়িত ১৪২২ বঙ্গাব্দকে আমরা আজই বিদায় জানাবো, আর সেই বিদায়ের সাথে সাথে স্বাগতম জানাবো নতুন বছর ১৪২৩ বঙ্গাব্দকে। পেছনের পাওয়া-না পাওয়াকে ভুলে গিয়ে সামনের প্রত্যাশার মিল রেখেই আমাদের নতুন জীবনের হিসাব মেলাতে হবে। বিগত বছরের না পাওয়া হোক প্রেরণা, আর নতুন বছরের প্রত্যাশা হোক পাথেয়; তবেই আগামির দিন হবে আমাদের জন্য শুভ, সবার জীবনে বয়ে আনুক সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-এই প্রত্যাশায়। বিদায়-১৪২২ বঙ্গাব্দ, স্বাগতম-সুস্বাগতম ১৪২৩ বঙ্গাব্দ।
পরিশেষে ‘আমার সুরমা ডটকম’ পরিবারের পক্ষ থেকে দেশি-প্রবাসিসহ সকলকে জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা, সুহৃদ পাঠক-পৃষ্ঠপোষক ও হিতাকাঙ্খীদের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন রইল।
শুভেচ্ছান্তে-সম্পাদক : আমার সুরমা ডটকম