রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
এমপি পদ বাতিলে ইসিকে আওয়ামী লীগের চিঠি

এমপি পদ বাতিলে ইসিকে আওয়ামী লীগের চিঠি

আমার সুরমা ডটকম :

এমপি পদ বাতিলে ইসিকে আওয়ামী লীগের চিঠি
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করেছে আওয়ামী লীগ। আজ রোববার আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়। নির্বাচন কমিশনে পাঠানো এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আজ দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের চিঠিটি পৌঁছে দেন। নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চিঠিটি গ্রহণ করেন। এ সময় মৃণাল কান্তি দাসের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওসার।
কমিশনে চিঠি দিয়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মৃণাল কান্তি দাস। এসময় তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকী এখন আওয়ামী লীগের কেউ নন। দলের সাধারণ সম্পাদকের চিঠি সম্পর্কে তিনি বলেন, ওই চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.), পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামায়াত সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন। তাঁর এই বক্তব্য বাংলাদেশ ও বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। যে কারণে ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় লতিফ সিদ্দিকীকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনে বলা হয়েছে, প্রার্থী মানে দল কর্তৃক মনোনীত বা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যক্তি। অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নির্বাচনের আগে ও পরে নেই। দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার হওয়ায় বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। যে কারণে তিনি সংসদ সদস্যপদে থাকার আইনগত অধিকার হারিয়েছেন। তাই সংবিধানের ৬৬ (৪) অনুচ্ছেদ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) ধারা এবং সংসদের কার্যপ্রণালীর ১৭৮ বিধি অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর সদস্যপদ বাতিলের অনুরোধ করছি।
গত ১৩ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চিঠি দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু তার আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও নেই, সেহেতু এই দলের মনোনয়নে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পদে তাঁকে বহাল রাখা সমীচীন হবে না। এরপর লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার। ওই চিঠির সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের চিঠিটিও যুক্ত করেন স্পিকার।
চিঠিটি পাওয়ার পর ইসি আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। ইসির দেওয়া সময় অনুসারে আজ রোববার শেষ দিনেই ব্যাখ্যা দিয়ে কমিশনে চিঠি পাঠাল আওয়ামী লীগ। এর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে চাওয়া বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকীও।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামায়াত এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভা ও দল থেকে অপসারিত হন লতিফ সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের ১৮টি জেলায় অন্তত ২২টি মামলা হয়। দেশে ফিরে আসার পর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত ২৯ জুন কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com