বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: হঠাৎ হঠাৎ করে ভেসে আসা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ থেমেছে, এগিয়ে গেছে যৌথ বাহিনী। এ বাহিনীতে হয়েছে সেনা থেকে শুরু করে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত সব বাহিনী। গুলশানের হলি বেকারির জিম্মি দশা এখন অবসানের পথে। এবার রেস্টুরেন্টের ভেতরে ‘অপারেশন’ চলছে।
শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অন্যদের বের করে আনা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা অভিযান চালাতে শুরু করলে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অভিযান। এসময় গুলি-পাল্টাগুলি চলে। ভেসে আসে গ্রেনেডেরও শব্দ। এরপর গুলির শব্দ থেমে যায়। সকাল সোয়া ৮টার দিকে ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যদের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। পরে একে একে অন্তত ১৩ জন বের করে আনা হয়। রাজধানীর গুলশানের ‘হলি আর্টিসান বেকারি’ রেস্টুরেন্টে সৃষ্ট জিম্মি সংকটের অবসান ঘটাতে সেনা কম্যান্ডোরা স্পটে এসে পৌঁছান সকাল সাড়ে ৭টায়। এরপরপরই তাদের অভিযান শুরু হয়। তাদের সঙ্গে অংশ নেয় র্যাব, পুলিশ, সোয়াট, বিজিবিসহ অন্য বাহিনীও।
সকাল পৌনে আটটার দিকে স্পট থেকে ভেসে আসতে থাকে টানা গুলির শব্দ। গুলির পাশাপাশি, গ্রেনেডের শব্দও আসতে থাকে। বেলা ৭টা ৫০ মিনিটের মধ্যে অনেকটাই ভবনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় কমান্ডোরা।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার কিছু আগে সেনাবাহিনীর ১১টি এপিসি, ১৬টি জিপ ও ৩টি ভ্যানসহ বেশ কিছু সাঁজোয়া যান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চিহ্নিত এলাকার বাইরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় মিলিটারি পুলিশকে।
এর আগে জিম্মিদশার প্রায় আট ঘণ্টা পার হওয়ার পর শনিবার ভোর পৌনে চারটার পরপরই এক দফা অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। যার অগ্রভাগে ছিলেন র্যাব সদস্যরা। সে সময় অন্তত পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কম্যান্ডিং অফিসার মাইকে জানান, যারা বের হয়ে আসতে চায় তারা যেনো হাত উঁচু করে বের হয়ে আসেন। ভোর ঠিক চারটায় ভেতর থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে বের করেও আনা হয়। অভিযান স্থলে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়।