বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: দেশব্যাপি সাম্প্রতিককালের বন্যার আছড় লেগেছে দিরাইয়েও, বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সাধারণ মানুষের জনজীবনে ছন্দপতন ঘটেছে। হাওরে পানি বৃদ্ধি সাথে সাথে সামান্য ডুবে যাওয়া বাড়িঘরে ঢেউয়ের তাণ্ডবে ভেঙে যাচ্ছে অনেক ঘরবাড়ি। ফলে আতঙ্ক নিয়ে দিন যাপন করছেন হাওরপাড়ের লোকজন। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জানা গেছে এসব তথ্য। তবে উপজেলা প্রশাসন বন্যা কিংবা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানেন না বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, বেশ কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর উজান থেকে আসা পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে এর প্রভাবে দিরাই উপজেলার নদ-নদী ও হাওরে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়।
দিরাই উপজেলার দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী জানান, বন্যায় ইউনিয়নের চণ্ডিপুর ও চণ্ডপুর গ্রামের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাছাড়া নাছনী, সরমঙ্গল, জারলিয়া, রাঙ্গামাটি, ছিতলিয়া গ্রামের প্রায় ২শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখিন হচ্ছে। কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ জানান, মাছ চাষিদের কিছু ক্ষতি ও কিছু সড়ক ডুবেছে, তবে ফিরাশির লোকজন জাল দিয়ে তাদের পুকুরগুলোকে রক্ষায় কাজ করছে।
দিরাই উপজেলা কৃষি ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোথাও বীজতলা বা মৎস্য খামারের ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, উপজেলার কোথাও বন্যার প্রভাব পড়েনি, পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় ধরণের কোন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হাওরপাড়ের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাছাড়া বিভিন্ন গ্রামে আবার শুরু হয়েছে চোরের উপদ্রব, বিশেষ করে ইদানিংকালে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকজন তাদের গরু অনেক দামি হওয়ার চোরদের টার্গেট থেকে রক্ষার্থে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের একজন জানান, চোরের ভয়ে গরুর ঘরে ঘুমাতে হচ্ছে, চোরেরা সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে গরু নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।