মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জুলাই মাসে মোট ৩৬৮ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৮৩টি। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৯ জনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৯ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ১০ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একজন। গতকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সংস্থাটির লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহিলা পরিষদের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মাসে ৬২ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪১ জন নারী। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১৯ জনকে। অ্যাসিড দগ্ধ হয়েছেন ৪ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৬টি। নারী ও শিশু পাচার হয়েছে ৪ জন। এর মধ্যে যৌনপল্লিতে বিক্রি করা হয়েছে ২ জনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে দুজনকে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৪ জনকে। এর মধ্যে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন একজন। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ৭ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ২৬ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং নয়জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৩ জন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুজন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৩০ জনকে। ওসিসিতে মহিলা প্রতিমন্ত্রী : গতকাল দুপুরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের দেখতে যান। রাজধানীর উত্তরায় গণধর্ষণের শিকার কর্মজীবী কিশোরীও এখানে চিকিৎসাধীন। প্রতিমন্ত্রী ওই কিশোরীকে বলেন, ভয় পাবে না। যারা এই ধরনের কাজ করেছে তারা অপরাধী। তুমি কোনো দোষ করনি। অপরাধী যে-ই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি ওসিসিতে থাকা অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।