বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
ইলম অর্জন হতে হবে প্রকৃত আমলের নিয়্যাতে: শায়খুল হাদিস বিলাল বাওয়া সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে যুবক খুন দিরাইয়ে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে হতাহত ৪ নিজ এলাকার মানুষের পাশে রয়েছেন এমপি প্রার্থী রশিদ মিয়া সম্প্রসারণবাদ, আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গণজোয়ার সৃষ্টি করে মজলুম গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব দিরাইয়ের সাবেক এমপির স্ত্রী-মেয়েকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ ভারতের ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করতে লিগ্যাল নোটিশ পাচার হওয়া মেধা ফিরিয়ে এনে উন্নত দেশ বিনির্মাণে ড. ইউনূসের যুগান্তকারী কৌশল দিরাইয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত দিরাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল ফিতর পালিত
প্রধান বিচারপতির কথায়ও ‘পাত্তা দেয়না’ মন্ত্রণালয়

প্রধান বিচারপতির কথায়ও ‘পাত্তা দেয়না’ মন্ত্রণালয়

haighcourtআমার সুরমা ডটকমবিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় প্রধান বিচারপতি কথায়ও আইন মন্ত্রণালয় গা করছেনা বলে অভিযোগ করেছেন হাই কোর্টের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির ২২ বছর পূর্তি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে প্রধান অতিথি হিসাবে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নাম ছিল। তবে তিনি উপস্থিত না থাকায় বিচারপতি দস্তগীর হোসেনকে প্রধান অতিথি করা হয়। বক্তব্যের এক পর্যায়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন বিচারপতি দস্তগীর হোসেন।

“অনেক সময় শোনা যায়, স্বাধীন হয়ে গেছি আমরা। এই দিকে সেক্রেটারিয়েট নাই। প্রধান বিচারপতি বারবার বলেন, আমাদেরকে দাও। মিনিস্ট্রি পাত্তাই দেয়না। মিনিস্ট্রি পাত্তা দিবে কেন? মিনিস্ট্রি হল সরকারের। আমরা হলাম জুডিশিয়ারি, এই জুডিশিয়ারির কথা শুনবে কে?” বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “সচিবালয় না হলে আমাদের মনিটরিং, আমাদের কন্ট্রোলে যদি না আসে, জুডিশিয়াল পুলিশ বা অ‌্যাডমিনিস্ট্রেশন না আসে, তাহলে স্বাধীন হতে পারব না।” বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আইনজীবীদের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র দিকটিও তুলে ধরেন হাই কোর্ট বিভাগের এই বিচারক। “এ ব্যাপারে তারা মাথাও ঘোরায় না। কারণ হল ফি পায়, মামলা করে; এগুলোর দরকার কী? স্বাধীনতা আবার কী জিনিস? আপনারা তো স্বাধীন আছেনই। বেইল দেননা, এরপর আবার কন স্বাধীন। এটা হয়?” “আপনাদেরকেও স্বাধীনতার জন্য একটুখানি কাজ করতে হবে,” আহ্বান জানিয়ে আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি দস্তগীর হোসেন বলেন, “আপনারা যে আর্গুমেন্ট করেন, বিচার চাই। তো বিচার চাইবেন কী করে? “১৫-১৬ কোটি মানুষের দুই-আড়াই হাজার জজ রয়েছে। কোর্ট রুম যেগুলো আছে, সেখানে সকালে এক কোর্ট বিকালে আরেক কোর্ট বসে। বসারও জায়গা নাই। এগুলো নিয়ে আপনাদেরও কিছু বলা দরকার।” “সবাই মিলে কাজ করলে আমরা স্বাধীন হতে পারব, বিচার দিতে পারব,” আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন তিনি।

বক্তব‌্যে আইনজীবীদের আবেদনের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিচারক। “আইনজীবীদের পিটিশন দেখলে মনে হয়, মক্কেল তাদেরকে ঠিকমতো টাকা দেয়না। পেস্টিং বলে একটা নতুন কথা হয়েছে। সেখানে ৪৯৮’র আবেদনে দেখা যায় ‘১০২ অধীনে’ লিখে ফেলেন।” অনুষ্ঠানে হাই কোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, জিল্লার রহমানও বক্তব‌্য রাখেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির সভাপতি আমিনুল হক হেলাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কামাল জিয়াউল ইসলাম বাবু।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com