শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সউদীআরবে হজ করতে গিয়ে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৩৩ বাংলাদেশী হাজীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এতথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যেসব হাজী বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং নয়জন নারী। এদের মধ্যে ২৪ জন মক্কায়, ৮ জন মদিনায় এবং ১ জন জেদ্দায় মারা গেছেন। এসব হাজীদের লাশ মক্কা-মদিনায় দাফন করা হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর মারা যান কুমিল্লার ছায়েদুর রহমান (৭৭), লক্ষ্মীপুরের মোহাম্মদ উল্লাহ। গত ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান হবিগঞ্জের মো. আমিন আলী (৭০), কুষ্টিয়ার তাহেরা খানম (৬০), মো. মকবুল হোসেন (৬৭)। ৫ সেপ্টেম্বর মারা যান সিলেটের আকরিজ উল্লাহ (৭৫), ফরিদপুরের মো. আইনুদ্দিন মোল্লা (৭৯)। ৪ সেপ্টেম্বর মারা যান ফেনীর ওবায়দুল হক (৭৮), নোয়াখালীর রেজাউল হক (৫৩), মুন্সিগঞ্জের আবুবকর সিদ্দিক (৫৯), গাজীপুরের আলী আহমেদ সিকদার (৬৬)। গত ৩ সেপ্টম্বরে টাঙ্গাইলের রমিজা বেগম (৫৭), ২ সেপ্টেম্বরে বরিশালের মো. আলাউদ্দিন ফকির (৭৪), ১ সেপ্টম্বরে নরসিংদীর মো. নুরচাঁদ মিয়া (৫৬) মারা যান। এছাড়াও আগস্ট মাসে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৯ আগস্ট চাঁদপুরের নাসির আহমেদ (৬৪), নোয়াখালীর ইসমাইল (৬২), ২৮ আগস্টে চাঁদপুরের মো. হাবিব উল্লাহ (৮৪), ২৬ আগস্টে শেরপুরের মো. জমির উদ্দিন (৭৪), কুষ্টিয়ার মোছা. সুফিয়া খাতুন (৬২), রংপুরের মো. ইসমাইল হোসেন (৭১), ২৫ সেপ্টম্বরে কুমিল্লার মো. আবু তাহের (৮৭), শেরপুরের রাশেদা বেগম (৪৮), নওগাঁর সিরাজুর মুনিরা লাভলী (৫১), মুন্সিগঞ্জের এসএম মোফাজ্জল হোসেন (৬৬), ২৪ আগস্টে নেত্রকোনার মো. ওয়াকিল উদ্দিন (৬৭), ২০ আগস্টের বগুড়ার মোছা. মরিয়ম বেগম (৫১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জোহরা খাতুন (৬১), ১৭ আগস্টে জয়পুরহাটের হাবিবা ফেরদৌসী রিক্তা (৪১), পাবনার মো. নুরুজ্জামান কাশেমী (৫৯), ১৬ আগস্টে চট্টগ্রামের মো. রেহান উদ্দিন (৭৩), ১৪ আগস্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবুল হাসেম (৭৯), রংপুরের হেলাল উদ্দিন আহমেদ (৬৪), ৭ আগস্টে গাজীপুর জামিলা আক্তার (৭৯)। সউদীআরবের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৯৯টি ফ্লাইটে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ বাংলাদেশের এক লাখ এক হাজার ৮২৯ জন হাজী সউদীআরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাঁচ হাজার ১৮৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৯৫ হাজার ৬১৪ জন রয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া মুসলমানদের সঙ্গে ১১ সেপ্টেম্বর হজ করবেন তারা। সউদী সরকারের নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশীদের ৪০৫টি লাগেজ হারানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এরমধ্যে ২৩৫টি লাগেজ উদ্ধারের পর ১৭৬টি হন্তান্তর করা হয়েছে। হজ শেষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ফিরতি ফ্লাইটে এই বাংলাদেশিরা দেশে ফিরবেন।