শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
কিন্তু সারাদিন বাসায় বাসায় ঘুরে সংগৃহিত মাংস নিজে না খেয়ে পেটের দায়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন গরীব, অসহায় লোকজন। নগরীর রাস্তার মোড়ে মোড়ে তারা মাংস নিয়ে বসে আছেন বিক্রির জন্য। গরীবের এই মাংস আবার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সিলেটের দামি হোটেল ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়- ঈদের দিন বাসায় বাসায় ঘুরে গরীব লোকজন কোরবানীর মাংস সংগ্রহ করেন। এই মাংস থেকে নিজে খাওয়ার জন্য সামান্য পরিমাণ রেখে বাকিগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। কোথাও কেজি হিসেবে আবার কোথাও ‘লট’ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এসব মাংস। তবে বিক্রির ধরণ যেভাবেই হোক না কেন প্রতিকেজি মাংসের দাম ২শত টাকার ভেতরেই বলে জানালেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
সিলেট নগরীর আম্বরখানা, মদিনামার্কেট, সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, রিকাবীবাজার, জেলরোড, কাজিটুলা ও কদমতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গরীব লোকজন মাংস নিয়ে বসে আছেন। ক্রেতারা দরদাম করে মাংস কিনে নিচ্ছেন। ক্রেতাদের মধ্যে বেশীরভাগই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী আবার গরীবদের সংগৃহিত কোরবানীর মাংস কিনে ঈদের পরে রেস্টুরেন্টে বিক্রির জন্য মজুদ করছেন। অনেকে আবার বাসার ফ্রিজে সংরক্ষণের জন্যও মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
আম্বরখানায় মাংস বিক্রি করতে আসা আবুল মিয়া জানালেন- তিনি ও তার দুই ছেলে মিলে সারাদিনে প্রায় ১৫ কেজির মতো মাংস সংগ্রহ করেছেন। তিন কেজির মতো নিজেদের জন্য রেখে বাকিগুলো তিনি বিক্রি করে দিচ্ছেন। প্রতি কেজি মাংস ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ‘গরীবের মাংস’ বলে ক্রেতারাও ভালো দাম দিতে চান না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, জেলরোড, আম্বরখানা, কাজিটুলাসহ বিভিন্ন এলাকায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা গরীবদের মাংস কিনতে দেখা গেছে। কেউ কেউ রেস্টুরেন্টের কর্মচারীকে ছুটি না দিয়ে ওইসব মাংস ক্রয় করার জন্য রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরবাজারের একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জানালেন, কম দামে মাংস কিনে নেয়ার জন্যই ঈদের ছুটি পাননি তিনি। চাকরি বাচাঁনোর জন্য তিনি ঈদের দিন বাড়িতে যাননি। তিনি জানান, ঈদের ছুটি শেষে কম দামে ক্রয় করা মাংস রেস্টুরেন্টে পরিবেশিত করা হবে। এতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা বেশি লাভ করবেন।