মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: এবারের কোরবাণীর ঈদে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়িদের মাথায় হাত পড়েছে, চামড়ার দাম এর আগে এত কম ছিলনা বলে অনেকেই জানান। সূত্র মতে, প্রতি বছর ঈদুল আযহার দিন কোরবাণীকৃত পশুর চামড়ার দাম মোটামুটি ভালো ছিল। কিন্তু এ বছর একেবারে কমে গিয়ে সাধারণ ও মৌসুমী ব্যবসায়িরা বিপাকে পড়েছেন। আর এই চামড়ার সাথে জড়িত বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠি ক্বওমী মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা আতঙ্কে রয়েছেন। জানা যায়, কোরবাণীর পশুর চামড়ার একটি অংশ লোকজন মাদরাসায় দিয়ে থাকে। কারণ, এ সকল প্রতিষ্ঠানে দেশের বিত্তবানদের ছেলে-মেয়েসহ এতিম, মিসকিন ও অসহায় ছেলে-মেয়েদের একটি অংশ লেখাপড়া করে। তাদের থাকা-খাওয়া ও কাপড়-ছোপড়ের খরচ প্রতিষ্ঠানের গরিব ফান্ড থেকে দেয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছরের বার্ষিকসভা ও ঈদ মৌসুমের চামড়ার একটি অংশ তাদের আয়ের অন্যতম উৎস। কিন্তু দেশের একটি কুচক্রী সিন্ডিকেট মহল নানা অজুহাতে কোরবাণীর চামড়া নিয়ে ষড়যন্ত্র করে ক্বওমী মাদরাসার ক্ষতি সাধনে লিপ্ত থাকে। এরই অংশ হিসেবে এ বছরও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে অবস্থিত জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া হুসাইনিয়া দারুল উলূম দরগাহপুর মাদরাসায় এ বছর মোট ৩০২টি চামড়া জমা হয়েছে, এরমধ্যে গরু ২৮৮টি ও খাসি ১৪টি। উপস্থিত নিলামে ছোট-বড় মিলিয়ে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪১০ টাকা করে। আর ১৪টি খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে শুধুমাত্র ৫০ টাকায় বলে প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া মাদরাসা সুনামগঞ্জের উত্তোলনকৃত গরু ও খাসির ৪২২টি চামড়া ক্রয়ের জন্য কোন ক্রেতা না আসায় লবণ দিয়ে রেখেছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক। কবে এ চামড়া বিক্রি হবে-এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেন নি তিনি, এ নিয়ে তারা হতাশায় আছেন বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার দিরাই হাফিজিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম জানান, ঈদের দিনে তাদের মাদরাসায় ২৯৫টি চামড়া এসেছে, এরমধ্যে গরুর ২৫৫টি ও খাসির ৪০টি। উপস্থিত নগদ নিলাামে ছোট-বড় মিলিয়ে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪শত টাকা করে, আর খাসির ৪০টি চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩শত টাকায়।