মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: এগুলো স্থাপিত হলে প্রতিবছর ১ হাজার ২০০ জন নারী শিক্ষার্থীর অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রক্রিয়াকরণ শেষে অনুমোদন পেলে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় নতুন বিভাগ ঘোষিত হওয়ায় ময়মনসিংহে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে এটিসহ মোট চারটি মহিলা পলিটেকনিক স্থাপন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম জানান, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়নে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকারের মহিলাদেরও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা রয়েছে। এতে নতুন এসব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি সরকারের চলমান পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত পিইসি সভার কার্যবিরণীতে দেখা যায়, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে তিনটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের এ প্রকল্পটি চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দহীনভাবে অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। এর বাইরে ময়মনসিংহ নতুন বিভাগ ঘোষণা হওয়ায় সেখানেও একটি মহিলা পলিটেকনিক স্থাপনের বিষয়ে সভায় একমত পোষণ করা হয়। এজন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সংশোধন করার নির্দেশনা দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পিইসি সভায় তিনটি মহিলা পলিটেকনিকের জন্য যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেগুলো হচ্ছে–প্রকল্পের কাজ কম খরচে দ্রুত বাস্তবায়ন করাসহ ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করতে হবে। যতটা সম্ভব নতুন ভূমি অধিগ্রহণ পরিহার করতে হবে। একনেক প্রদত্ত অনুশাসনের আলোকে প্রস্তাবিত প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন থাকলে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থান নির্বাচন করে তার দাম নির্ধারণ করে একটি প্রত্যয়নপত্র সংশোধিত ডিপিপিতে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে হবে। এসব সুপারিশ পূরণ করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনর্গঠিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, এসব মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বিভাগীয় শহরে স্থাপন করা হবে নাকি অন্য কোনো জেলায় করা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পিইসি সভায় ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার কথা ভেবে বিভাগীয় শহরেই স্থাপনের বিষয়ে কেউ কেউ মত দিয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে সভায় একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৬০ শতাংশ ছাত্রীর জন্য ছাত্রীনিবাস নির্মাণ করা হবে। কিন্তু বাকি ৪০ শতাংশ ছাত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ঝালকাঠি, হবিগঞ্জ ও নীলফামারী জেলায় পাওয়া যাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সভায় কর্মকর্তারা মতামত দিতে গিয়ে বলেন, পুরনো ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বিভাগীয় শহরে অবস্থিত। তাই মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো পুনরায় বিবেচনা করে প্রকল্প এলাকা নির্ধারণ করতে পারে।