শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
আবদুল আলিম : লোকসঙ্গীতের এক অমর শিল্পী

আবদুল আলিম : লোকসঙ্গীতের এক অমর শিল্পী

FB_IMG_1436611772553

ফারুকুর রহমান চৌধুরী :
বাংলা লোকসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয়, বহুল প্রচারিত ও সমৃদ্ধ শাখা হচ্ছে লোকসঙ্গীত। আমরা সাধারণভাবে লোকসঙ্গীত বলতে জনশ্র“তিমূলক গানকে বুঝি। অর্থাৎ যে গান মৌখিক ধারাকে অবলম্বন করে শ্র“তি ও স্মৃতিনির্ভর করে বহমান থাকে তাকেই লোকসঙ্গীত বলি। মাটি ও প্রকৃতি থেকে উৎসারিত এই লোকসঙ্গীতে মাটির মানুষের প্রাণের ছোঁয়া হৃদয়ের আকুতি প্রকাশ পায় দুটি ভাগে-১) কথা, ২) সুর।
সুর ও বাণির মিলনে যদিও লোকসঙ্গীতের যুগলমুর্তি প্রস্ফুটিত হয়, তবুও সুরই হচ্ছে লোকসঙ্গীতের প্রধান আকর্ষণ। মানুষের কণ্ঠে কোমল মধুর ধ্বনী নিঃসরণের নানা রূপ ও ভাব প্রকাশের ওঠানামা থেকে বিকশিত লোকসঙ্গীতের প্রধান আকর্ষণ এই সুরের বিশুদ্ধ ও বিমুর্ত রূপ আমাদেরকে বিহ্বল করে আনন্দে উদ্ভাসিত করে। তবে সেই আনন্দে উদ্ভাসিত করার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে সাথে একজন শিল্পীর কণ্ঠ সাধনার অবদান। শিল্পির কণ্ঠে সুরের মধ্যে দিয়ে যখন মনের নানা ভাব ব্যক্ত হয়, তখন একটি সঙ্গীতের সূচনাপূর্ব রচিত হয়। আর তখনই মানুষের অনুভব জগতের কোমলতা ভাব-মানস প্রভৃতি সৃষ্ট কোমল সুক্ষ্ম অনুভূতিজাত এই সঙ্গীত মানব মনে সুন্দর এক শৈল্পিক রূপময় ভাবাবেগ জাগায়; যা শুভ চেতনার সহায়ক হয়। মানুষের অন্তর সমুদ্রের গভীরে ডুবে থাকা অব্যক্ত কথামালা মানুষের ভাবের জগতে সুরে কবিতার ছন্দে, সুরের ঢেউয়ে প্রকাশ পায়। মানুষ যখন তার মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা অব্যক্ত কথা ছন্দে ও অর্থে মিলিয়ে প্রকাশ ঘটায় তখন একটি কবিতা হয়। আর এই কবিতার ভাবপূর্ণ কথামালা যখন পরিশীলিত সুর সংযোজন করা হয়, তখন তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেলেও ততক্ষণ পর্যন্ত স্বার্থকতা লাভ করেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত কোন শিল্পী তাঁর মধুর কণ্ঠে জনসম্মুখে পরিবেশন করেন। মোটকথা, সঙ্গীত শিল্প সৃষ্টিতে উন্মুখ হয়ে উঠে তখনই, যখন সুললিত সুর ও কাব্যের সমৃদ্ধবাণি কোন শিল্পীর মধুর কণ্ঠে প্রকাশ পায়। শিল্পী যখন তাঁর দরাজ গলায় গেয়ে উঠেন তখনই রসপুষ্ট সঙ্গীতে শিল্পের প্রকাশ ঘটে এবং আমাদেরকে আবেগে আপ্লুত করে সুন্দর ও কল্যাণ তথা এক ঘন উপলব্ধিতে পৌঁছে দেয়। ঠিক যেমনটি করেছেন আমাদের লোকসঙ্গীতের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তি পুরুষ ‘আবদুল আলিম’। তিনি এ দেশের পল্লীর কাঁদামাটির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা গানকে বেছে নিয়ে বিশ্ববাসির কাছে তুলে ধরে দেশ এবং দেশের বাইরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। আবদুল আলিম বাংলা লোকসঙ্গীত গেয়ে গ্রাম বাংলাকে সুরের আবেশে মাতোয়ারা করে তুলেছিলেন। তিনি যখন ভাটিয়ালি গানে সুর তুলতেন, তখন ভাটির ¯্রােতে বয়ে চলা নৌকার মাঝি মনে করত আবদুল আলিম যেন তাঁর মনের কথা বলছেন। অন্যদিকে আবদুল আলিম যখন বাউল গান গাইতেন তখন বৈরাগীরা থমকে দাঁড়াত। তিনি যখন কোন প্রেমের কিংবা বিরহের গান গাইতেন, আর সেই গান যখন কোন প্রেমিক-প্রেমিকা তন্ময় হয়ে শুনতেন, তখন তারা মনে করতেন আবদুল আলিম যেমন সেই প্রেমিক-প্রেমিকার মনের কথাই বলছেন। শুধু ভাটিয়ালি, বাউল কিংবা প্রেম-বিচ্ছেদের গান নয়, আবদুল আলিম যখন মারফতি আর মুর্শিদি গান গাইতেন তখন তাঁর কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসা গানের সুরে বিনয় ন¤্র ভক্তির নিবেদন ঝরত। আর এভাবেই তিনি আমাদের পল্লী গানের জগতে একজন আদর্শ গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তাই আবদুল আলিমের কণ্ঠ আজো মিশে আছে বাংলার পলল ভূমির সোদা গন্ধের সাথে। আবদুল আলিম কণ্ঠের ক্ষেত্রে এক অসাধারণ ঐশ্চর্য নিয়ে জন্মেছিলেন একথা বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গরাই স্বীকার করেছেন। হয়তবা সে কারণেই আবদুল আলিমের কণ্ঠে গাওয়া গান এ দেশের কাঁটাতারের বেষ্টনি পেরিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গীত প্রেমিদের মন জয় করেছিল। আবদুল আলিম যে গানগুলো গাওয়ার জন্য চয়ন করেছিলেন, সে গানগুলো সুর, তাল, লয়ের অপূর্ব মিলন ঘটিয়ে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর কণ্ঠে গাওয়া গানগুলোতে রয়েছে ভক্তিরশের আবেশ এবং বিহ্বলতা। যে কারণে আবদুল আলিমের গাওয়া অধিকাংশ গান সহজেই পৌঁছে গিয়েছিল শ্রোতাদের মনের গহিনে। তাই বর্তমান সময়েও সঙ্গীত শ্রোতারা আবদুল আলিমের কণ্ঠে গাওয়া গান বিহ্বল হয়ে শুনেন। সঙ্গত কারণেই বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের লেখনিতে ফুটে উঠেছে-আবদুল আলিম ফুল-পাখি আর নদীর গান গাইতে গাইতে এদেশের মানুষের হৃদয় জয় করে বাংলা লোকসঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরে বাংলা লোকসঙ্গীতকে এক অবিশ্বাস্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। আবদুল আলিম জীবদ্দশায় আধ্যাত্মিক, মরমী, মুর্শিদিসহ অসংখ্য গান গেয়েছেন। তাঁর গাওয়া প্রতিটি গানে এমন সুর ব্যক্ত হয়েছে যাতে মিশে আছে আবহমান বাংলার সোঁদা মাটির গন্ধ, যে কারণে আবদুল আলিমের গাওয়া গান আজো শ্রোতাদের হৃদয়কে বিগলিত করে। আবদুল আলিম মূলত গানের জগতে নিমজ্জিত হয়েছিলেন একনিষ্ঠের সাধনার সঙ্গমে। তাঁর গানের আকুলতা ছিল বাংলা সহজিয়া গানকে উচ্চতর আসনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি তাঁর কণ্ঠ সাধনা, দরাজ গলা আর চমৎকার সব সুরের মাধ্যমে আমাদের মাটির গানের বাণিসমূহকে অপরূপ মহিমায় স্বার্থকরূপে প্রকাশ করে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন। ফলে তাঁর ঐকান্তিক অনুশীলন এবং অনবদ্য গায়কি ভঙ্গিমার কাছে সুর এবং গান বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল।
একথা সত্য যে-বাণি এবং সুরের আলিঙ্গন নিয়েই গান হয়। কিন্তু অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে সুরই মানুষের চিত্তকে উদার করে। সুরের সহযোগে শব্দের জিয়নকাঠি গানের শরীরের প্রাণ-প্রবাহ সঞ্চার করে। আর এই গান যখন কারো কণ্ঠে গাওয়া হয় তখন শ্রোতারা মোহিত হন সুরের সম্মোহনে। আবদুল আলিমের গাওয়া প্রতিটি গানেই সুরের পাশাপাশি কণ্ঠ সাধনার অবদান ছিল অনেক বেশি। সঙ্গত কারণেই আবদুল আলিমের কণ্ঠে গাওয়া গান যখন আমাদের আত্মার সাথে ঘষা লাগে, তখন আমাদের মনের ভিতরে আগুন জ্বলে উঠে। এই আগুনে পুরতে পুরতে আমাদের মন হয়ে উঠে আয়না। সেই আয়নায় আমরা দেখতে পাই জগতের সৌন্দর্য। তাই আবদুল আলিমের কণ্ঠে পরিবেশিত গান আমাদের বেশি করে শুনা উচিত। এতে করে বর্তমান সময়ে আমাদের মাটির গানে যে ব্যর্থতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা কাটিয়ে উঠার মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
এমনই গুণের অধিকারি অবিসংবাদিত কিংবদন্তি পুরুষ আবদুল আলিম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। আবদুল আলিম মূলত সঙ্গীতের সাথে সম্মৃক্ত হয়েছিলেন শৈশবে। তিনি পাঠশালায় পড়ার সময় গ্রামোফান রেকর্ডে গান শুনে সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। প্রথম জীবনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কোন শিক্ষকের কাছে গান শিখতে পারেন নি। তখন অন্যের গাওয়া গান শুনে শুনে শিখতেন আর বিভিন্ন পালা পার্বণে গাইতেন। পরে সৈয়দ গোলাম আলীর নিকট সঙ্গীতের তালিম নেন। আবদুল আলিমের কণ্ঠ শৈশব থেকেই ছিল শ্র“তিমধুর। তিনি ১৯৪২ সালে কলকাতা আলিয়া মাদরাসার এক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানে আবদুল আলিমের কণ্ঠে গান শুনে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের চোখে পানি চলে এসেছিল। তাই গান শুনার পর শেরে বাংলা একে ফজলুল হক আবদুল আলিমকে ডেকে কাছে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। এভাবেই আবদুল আলিমের সুনাম ছড়াতে থাকে। আবদুল আলিম প্রথম জীবনে বিভিন্ন সভা-সমিতিতে গান গেয়ে সুনাম অর্জন করেছিলেন। পরবর্তীতে কলকাতায় গিয়ে আব্বাস উদ্দীন আহমদ এবং কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন। দেশ ভাগের পর আবদুল আলিম ঢাকা আসেন। ঢাকা আসার পর প্রথমে বেতার শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন এবং পরে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। পরে মমতাজ আলী খান, কানাই শীল প্রমুখদের নিকট লোকঙ্গীত এবং উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন। আবদুল আলিম এক সময় ঢাকা মিউজিক কলেজের লোকসঙ্গীত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল আলিম মূলত আধ্যাত্মিক, মরমী, মুর্শিদি ইত্যাদি গান গেয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন। সঙ্গীত জীবনে আবদুল আলিমের কণ্ঠে দুই শতাধিক রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। দেশের চলচ্চিত্রের প্রথম দিকে আবদুল আলিম শতাধিক ছবিতে প্লে-ব্যাক করেছেন এবং ১৯৫৬-৭৪ সাল পর্যন্ত নবাব সিরাজউদ্দৌলা, সাত ভাই চম্পা, স্বর্ণকমল, লালন ফকির, এ দেশ তোমার আমার, মুখ ও মুখোশ ইত্যাদি ছবিসহ প্রায় ৫০টি ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। আবদুল আলিমের জীবদ্দশায় সব মিলিয়ে মোট ৫০০টি গান রেকর্ড করা হয়েছিল; তন্মধ্যে ২৫০টি গান সংরক্ষিত থাকলেও বাকী ২৫০টি গান পাকিস্তানসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে। আবদুল আলিম জীবদ্দশায় যে গানগুলো গেয়েছিলেন তাঁর প্রায় অধিকাংশই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। তাঁর গাওয়া বেশ কিছু গান মানুষের মুখেমুখে ছিল মন্ত্রের মতো। আবদুল আলিমের কণ্ঠে গাওয়া যে গানগুলো এক সময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে-‘প্রেমের মরা জলে ডুবে না,’ ‘পরের জায়গা পরের জমি,’ ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী, ‘নাইয়ারে নায়ে বাদাম তুইলা,’ ‘মাঝি বাইয়া যাও রে,’ ‘আর কতকাল ভাসব আমি,’ ‘এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া,’ ‘দোয়ারে আইসাছে পালকি’ ইত্যাদি। আবদুল আলিম এসব গান বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ইত্যাদি মাধ্যমে গেয়ে প্রচার ও জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি কলকাতা, বার্মা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করে বিদেশিদের নিকট বাংলা লোকসঙ্গীতকে তুলে ধরেছিলেন। ফলশ্র“তিতে সঙ্গীতে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আবদুল আলিমকে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা মরণোত্তর “একুশে পদক” প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ১৯৭৪ সালে খান আতাউর রহমানের “সুজন সখি” ছবিতে কণ্ঠ দেয়ার জন্য আবদুল আলিমকে মরণোত্তর জাতীয় পুরষ্কার, পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরষ্কার, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পুরষ্কার, পাকিস্তান মিউজিক কনফারেন্স লাহোরে সঙ্গীত পরিবেশন করে ৫টি স্বর্ণপদক অর্জন করেছিলেন।
আবদুল আলিম শুধু গান গেয়ে বাংলা লোকসঙ্গীতকে অসাধারণ উচ্চতায় পৌঁছে দিয়ে খ্যাতিই অর্জন করেন নি। তিনি বাংলা লোকঙ্গীতে আত্মত্যাগের পাশাপাশি বাংলা লোকসঙ্গীতকে উচ্চতায় তুলে ধরার সেই ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য উপযুক্ত ছাত্রও তৈরী করে গেছেন। তিনি যে ছাত্র তৈরী করেছিলেন তাঁরাও বর্তমান সময়ে লোকসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। আবদুল আলিমের উল্লেখযোগ্য ছাত্ররা হচ্ছেন মোঃ আবদুল হাশেম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, আবদুল করিম খান, মোশতাক তালুকদার, শহীদুজ্জামান, রুকশানা হক প্রমুখ। আবদুল আলিম মুত্যুকালে ৪ ছেলে ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর সন্তানেরাও ভাল গান করেন। সন্তানদের মধ্যে আজগর আলিম, জহির আলিম, নুরজাহান আলিম বাংলাদেশের বিখ্যাত গায়ক। আবদুল আলিম জীবদ্দশায় আধ্যাত্মিক ও মরমী মুর্শিদি তথা লোকসঙ্গীত গাওয়া প্রচার করা এবং সেই ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য উপযুক্ত ছাত্র তৈরী করে আমাদের লোকসঙ্গীতের প্রতি যে দরদ দেখিয়েছেন, তা কোন দিন ভূলার নয়। এই অবিসংবাদিত কিংবদন্তি পুরুষ আবদুল আলিম তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ঢাকা পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। মুত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমাদের লোকসঙ্গীতে রেখে গেছেন অসাধারণ অবদান, যা কোন দিন ভূলার নয়। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু বেঁচে আছে তাঁর কণ্ঠে গাওয়া শত শত গান। যে গানের মাধ্যমেই তিনি আমাদের মাঝে অমর হয়ে বেঁচে আছেন, অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
তথ্য সহায়ক
১.বাংলা একাডেমি পত্রিকা-৫৩ বর্ষ, ১ম-২য় সংখ্যা, নভেম্বর ২০১০ খ্রিস্টাব্দ।
২.কিশোরগঞ্জ ডটকম, ২৭ জুলাই ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
৩.বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ, ব্লগ-২৭ জুলাই ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
৪.গ্রিলাইফ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ।
৫.বিএন নিউজ, ৪ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।
৬.গুনিজন ডট অআর জি ডটবিডি।
৭.উইকিপিডিয়া।
৮.মিডিয়া খবর ডটকম।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com