মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: ‘দেশ থেকে দুর্নীতির মুলোৎপাঠন জরুরী’ উল্লেখ করে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা, ডাক্তার, শিক্ষকসহ সরকারি বেতনভোগি সকলকে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি। উপজেলা প্রশাসনের সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। অফিসপাড়াকে দালালমুক্ত করার জন্য প্রতিটি অফিসের সামনে সিটিজেন চার্টারের মাধ্যমে অফিস কর্মকর্তা ও স্টাফদের ছবিসহ নাম লিখে রাখতে হবে। বুধবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা গণমিলনায়তন হলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উদ্যোগে ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সুনামগঞ্জের সদস্য খলিল রহমানের পরিচালনায় গণশুনানি, র্যালি, মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুদকের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক শিরীন পারভীন, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ, সনাক সুনামগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি পরিমল কান্তি দে, বর্তমান সভাপতি নূরুর রব চৌধুরী, দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া। গণশুনানিতে উপজেলার ১১টি সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ পড়ে উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, উপজেলা সমাজসেবা ও উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের বিরুদ্ধে। কর্মকর্তারা মঞ্চে উপস্থিত থেকে অভিযোগকারিদের অভিযোগের ব্যাখ্যা দেন। অভিযোগকারিদের পরবর্তী নিরাপত্তা বিষয়ে অভিযোগকারির এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দুদক দেখবে বলে আশ্বস্ত করেন দুদক কমিশনার।
দুর্নীতিতে রেহাই পায়নি এতিমখানাও!
এদিকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্যোগে ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেন সংক্ষুব্ধ ভূক্তভোগিরা। দূর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পায়নি দিরাই সমাজসেবা অফিস কর্তৃক পরিচালিত উপজেলা এতিমখানাটিও। আনোয়ারপুর নিবাসি মোসলেহ উদ্দিন একটি জাতীয় দৈনিকের “এতিমখানাই এতিম” শিরোনামের খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি আমি নাকি এতিমখানায় চাকরী করি এবং ১৯৯৩ সাল থেকে আমার নামে এতিমখানা থেকে প্রতি মাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে, অথচ এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের বিরুদ্ধে সেবুল রেজা চৌধুরী পৌর সদরের ৫২ লক্ষ টাকার স্টিকলাইট স্থাপন প্রকল্পে ৩০ লক্ষ টাকা, একরার হোসেন ১৪-১৫ অর্থবছরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল স্থাপনে প্রতিটি প্যানেলে ৪০-৫০ হাজার টাকা করে শতাধিক প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ও মারফত মিয়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ মাঠে মাটি ভরাটের নামে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এছাড়াও পান্না আক্তার, আজাদ সরদার, আবদুস শুকুর, ইকবাল চৌধুরীসহ অনেক মানুষ ভূমি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেন।