শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: বিনা বিচারে দেড় যুগ কারাগারে থাকা চারজনকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চে হাজির করা হয়। পরে আদালত দুপুর ১২টায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ২০ নভেম্বর চারজনকে আজ হাইকোর্টে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ওই চারজন হচ্ছেন—চাঁন মিয়া, মকবুল হোসেন, সেন্টু কামাল ও বিল্লাল হোসেন। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া ওই চারজনকে বিনা বিচারে দেড় যুগ আটক রাখা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন ১৭ বছর বিনা বিচারে কারাগারে থাকা ঢাকার সূত্রাপুরের গোয়ালঘাট লেন এলাকার মো. শিপন মিয়া। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেন আদালত। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনা বিচারে কারাগারে আটক চারজনের একজন চাঁন মিয়া। ১৮ বছর ধরে যার পরিচয় ২৮৩৪ (বন্দি নম্বর)। ঢাকার শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে ১৯৯৯ সাল থেকে বিনা বিচারে বন্দি তিনি। এই দেড় যুগে চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতিই হয়নি। মামলাটি বর্তমান বিচারাধীন ঢাকার পরিবেশ আদালতে।
একই ঘটনা মাদারীপুরের মকবুল হোসেনেরও। ৬৬৬ পরিচয়ধারী মকবুল রাজধানীর উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০০০ সালে। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মকবুলের পক্ষে আইনি লড়াই করারও কেউ ছিলেন না। মতিঝিলের এজিবি কলোনির সেন্টু কামাল গ্রেপ্তার হন ২০০১ সালে। সর্বশেষ গত মাসেও তাঁকে হাজির করা হয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছরে ৫৯ কার্যদিবস আদালতে হাজির করা হলেও মামলা শেষ হয়নি। মামলা শেষ হয়নি কুমিল্লার বিল্লাল হোসেনেরও। তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় বিল্লাল হোসেন কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন ২০০২ সাল থেকে। তাঁর মামলাটিও বিচারাধীন আছে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।