আমার সুরমা ডটকম: যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পেরিয়ে ১৯৭১- এর এই দিনে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ও বাঙালি পায় একটি স্বাধীন ভূখ-, লাল-সবুজের পতাকা। বিজয়ের এই দিনে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের।
দিনের শুরুতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির যে বীর সন্তানদের স্মরণ করেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। পরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দেন শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য ও কূটনীতিকরা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এরপর। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল পৌনে ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২-এর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাঙালির বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে জাতীয় প্যারেড ময়দানে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য এই কুচকাওয়াজে মুক্তিযোদ্ধা কন্টিনজেন্ট, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন শাখা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতির তথ্য জানানো হয় অতিথিদের। বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতীয় প্যারেড ময়দান থেকে এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে। সকাল ১০টায় প্রেসিডেন্ট জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন মিশনের প্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বিজয়ের ৪৫ বছর পুর্তি।