রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: নানা জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলার ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটারগণ। এ নির্বাচনকে ঘিরে ছিল কঠোর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আর ভোটকেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় ছিল গোয়েন্দা নজরদারি। প্রথম দিকে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আসতে থাকেন ভোটাররা। চলতে থাকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ। দুপুর ২টার পর শুরু হয় ভোট গণনা। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু তদারকি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট গণনার কাজ সম্পন্ন হলে প্রতি কেন্দ্র থেকেই আসতে থাকে ভোটের খবর। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়াহয় বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ও তাদের প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ি, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম কর্তৃক ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নুরুল হুদা মুকুট (মোটর সাইকেল প্রতীক) ৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪২০ ভোট। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে আহবাব হোসেন চৌধুরী (ঘোড়া প্রতীক) ৪ ভোট ও চঞ্চলা রানী দাস (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২ ভোট।
চেয়ারম্যান ছাড়াও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকে ১৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সেলিনা বেগম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইয়াছমিন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৮১ ভোট।
সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য প্রার্থী ফৌজি আরা বেগম লাটিম প্রতীকে ৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদিয়া বখ্ত সুরভী টেবিল-ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪ ভোট। তাছাড়া এই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোছা. তাহমিনা বেগম (ফুটবল) ২৬ ভোট, ফেরদৌসি সিদ্দিকা (কম্পিউটার) ১৪ ভোট, মোছা. মদিনা আক্তার (দোয়াত – কলম) ১০ ভোট, রাবেয়া সিদ্দিকা (টেলিফোন) ১১ ভোট, সামিনা চৌধুরী (মাইক) ১৯ ভোট, সানজিদা নাসরিন দিনা (হরিণ) ২ ভোট, সৈয়দা আমিনা আখঞ্জি (বই) ৫ ভোট, রাজিয়া খাতুন (ডিস এন্টিনা) ৬ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে ফারহানা ইয়াসমিন সীমা মাইক প্রতীকে ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজরাণী চক্রবর্তী (হরিণ প্রতীক) পেয়েছেন ৮৯ ভোট। এছাড়া এই ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোছা. ফিরোজা বেগম (টেবিল ঘড়ি) ৩০ ভোট এবং বীণা জয়নাল (ফুটবল) পেয়েছেন ২২ ভোট।
সংরক্ষিত ৪নং ওয়ার্ডে সাবিনা সুলতানা (বই প্রতীক) ১৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রওশন আরা বেগম ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৮০ ভোট।
সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ডে মোছা. নুরুন্নাহার হরিণ প্রতীকে ১৬৪ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার (ফুটবল) পেয়েছেন ৭০ ভোট।
এদিকে, ১নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আবুল হোসেন খান তালা প্রতীকে ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুনাব আলী টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৭ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এ ওয়ার্ডে মো. মোস্তাফিজ আলী পীর (হাতি প্রতীক) ও জিল্লুর রহমান (ঢোল প্রতীক) কোনো ভোটই পাননি। এ ওয়ার্ডে আতিকুর রহমান বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৫ ভোট পেয়েছেন।
২নং ওয়ার্ডে মোজাম্মেল হোসেন রোকন তালা প্রতীকে ৩৬ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল কাইয়ুম মজনু ঘুড়ি প্রতীকে ২৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রভাকর তালুকদার (হাতি প্রতীক) পেয়েছেন ১১ ভোট এবং মো. আব্দুস সালাম (বৈদ্যুতিক পাখা) ও মো. হারুনুর রশিদ (টিউবওয়েল) ২টি করে ভোট পেয়েছেন।
৩নং ওয়ার্ডে সদস্যপদে শামীম আহমদ মুরাদ তালা প্রতীকে ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জুবায়ের পাশা (বৈদ্যুতিক পাখা) ৩৩ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এ ওয়ার্ডে সৈয়দ আমিনুল হক হেলাল হাতি প্রতীকে কোন ভোট পাননি।
৪নং ওয়ার্ডে সদস্যপদে মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী (হাতি প্রতীক) ৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণব্রত তালুকদার (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ১৭ ভোট। এছাড়া এ ওয়ার্ডে সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. গুল আহমেদ (অটোরিকশা) ১২ ভোট, সৈয়দ খালেদ আহমদ (টিউবওয়েল) ১ ভোট পেয়েছেন। মো. আশহাদুর রহমান (ঢোল) এবং মো. মিসবাহ উদ্দিন (ঘুড়ি) কোনো ভোট পাননি।
৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে মো. শামছুজ্জামান শাহ (বেহালা প্রতীক) ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. হোসেন আলী (টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক) পেয়েছেন ২৯ ভোট। এছাড়া এই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে মোহাম্মদ ফারুক রশীদ ঘুড়ি প্রতীকে ২০ ভোট, মো. মহিবুর রহমান (তালা) ২০ ভোট, এএইচএম হাসান বশির (বৈদ্যুতিক পাখা) ২ ভোট, মো. সাজ্জাদুর রহমান (হাতি প্রতীক) ২ ভোট, সৈয়দ আহমদ (টিউবওয়েল) ১ ভোট, মো. মমিনুল ইসলাম (ঢোল) ১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এ ওয়ার্ডে মো. মাহতাব উদ্দিন তালুকদার (অটোরিকশা), মো. আবু সাঈদ (বক), মো. আলম নূর (উট পাখি) কোনো ভোট পাননি।
৬নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে সৈয়দ তারিক হাসান (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনির উদ্দিন ঢোল প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ ভোট। এছাড়া এ ওয়ার্ডে মো. ওয়াহিদুর রহমান ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ ভোট। আব্দুল মজিদ (তালা) ১১ ভোট, মাজহারুল ইসলাম (হাতি প্রতীক) ১০ ভোট, জুবের আহমদ অপু (টিউবওয়েল প্রতীক) ৪ ভোট, মো. ইয়াকুব বখ্ত (বেহালা প্রতীক) ২ ভোট, মো. জসিম উদ্দিন (ক্রিকেট ব্যাট) ১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এ ওয়ার্ডে আল-হেলাল মোহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ বক প্রতীকে ও জিয়াউর রহমান অটোরিকশা প্রতীকে কোনো ভোটই পাননি।
৭নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে জহিরুল ইসলাম ঘুড়ি প্রতীকে ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল আলম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ২১ ভোট। এছাড়া জাহাঙ্গীর আলম তালা প্রতীকে ১০ ভোট এবং আব্দুল্লাহ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৮ ভোট পেয়েছেন।
৮নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মো. নাজমুল হক তালা প্রতীকে ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোহেল আহমদ ছইল মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ ভোট। এ ওয়ার্ডে সৈয়দ বদরুল আলম হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ১ ভোট।
৯নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মো. আবু আব্দুল্লাহ চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবু লেইস চৌধুরী (ঘুড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ১৮ ভোট।
এছাড়া ওয়ার্ডে বেলাল আহমদ (ঢোল প্রতীক) এবং মো. নুরুল হক তালুকদার (তালা প্রতীক) ১৩টি করে ভোট পেয়েছেন। এ ওয়ার্ডে পীযুষ শেখর দাস (অটোরিকশা) ও বাদল চন্দ্র দাস (টিউবওয়েল) ৪টি করে ভোট পেয়েছেন। অপর সদস্যপ্রার্থী রান্টু লাল দাস (হাতি প্রতীক) পেয়েছেন ১২ ভোট।
১০নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মাহতাবুল হাসান বেহালা প্রতীকে ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সোহেল মিয়া তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ ভোট। এ ওয়ার্ডে শহীদুর রহমান শহীদ ফুটবল প্রতীকে ১২ ভোট, মো. নুরুল আমিন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৯ ভোট, আব্দুল মতলিব চৌধুরী ঢোল প্রতীকে ৫ ভোট, মো. আব্দুল জব্বার ঘুড়ি প্রতীকে ১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও এ ওয়ার্ডে মো. ইমদাদুর রহমান তালুকদার (ক্রিকেট ব্যাট), মো. চালেক উদ্দিন (বক প্রতীক) কোনো ভোট পাননি।
১১নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে তালা প্রতীকে ৪২ ভোট পেয়ে সৈয়দ সাবির মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল হোসেন লালন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ ভোট। এ ওয়ার্ডে শাহজাহান সিরাজী ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬ ভোট।
এদিকে ১২নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোহাম্মদ আব্দুল আজাদ টিউবওয়েল প্রতীকে ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রেজা মিয়া তালুকদার তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ ভোট।
১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আমিনুল ইসলাম সেলিম তালা প্রতীকে ৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ ভোট। এ ওয়ার্ডে সদস্যপদ প্রার্থী মো. আকরামুল ইসলাম মাসুম (অটোরিকশা) ৭ ভোট পেয়েছেন।
১৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মো. আজমল হোসেন তালা প্রতীকে ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আসিক আলী টিউবওয়েল প্রতীকে ২৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া মো. আফসার উদ্দিন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ ভোট। এ ওয়ার্ডে মো. এনামুল হক উটপাখি প্রতীকে কোনো ভোট পাননি।
১৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মো. আব্দুস সহিদ মুহিত তালা প্রতীকে ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ছানাউর রহমান তালুকদার টিউবওয়েল প্রতীকে ২১ ভোট পেয়েছেন।