রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ অপরাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে বাঁধের নিচ থেকে মেশিন (একসেভেটর) দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বাঁধের দুই পাশ দুর্বল হচ্ছে এবং মূল বাঁধের গোড়ার ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়দের কোন বাঁধা-নিষেধ মানছেন না ঠিকাদারের লোকজন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালগঞ্জের হালির হাওরে বেহেলী ইউনিয়নের বদরপুর থেকে হাওরিয়া আলীপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানের বাঁধে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার এসকেভেটর দিয়ে বাঁধের মাটি কাটছেন। নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের গোড়া থেকে অন্তত ৩২ ফুট দূর থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও খুব কাছ থেকেই মাটি কাটা হচ্ছে। এছাড়াও বাঁধে মাটি দেয়ার পর শক্ত হওয়ার জন্য ভারী জিনিস দিয়ে চাপা (দুরমুজ) দেয়ার কথা থাকলেও কোন বাঁধেই তা হচ্ছেনা। বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ হাসিম বলেন, ‘বাঁধের কাছ থেকে মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে তা সবাই জানেন। এছাড়া মাত্র কয়েক ইঞ্চি উঁচু করে মাটি দেয়া হচ্ছে।’ জানা যায়, শুধু হালির হাওরই নয় জেলার তাহিরপুর উপজেলা ও মধ্যনগর এলাকার হাওরের বাঁধগুলোতে গোড়া থেকে মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।
তাহিরপুরের বাসিন্দা পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, ‘বেশিরভাগ বাঁধের ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাঁধের পাড় থেকে মাটি কেটে বাঁধ দেয়া হয়, এতে বাঁধ দুর্বল হয়। বাঁধে একটি নির্দিষ্ট ঢালু থাকার কথা থাকলেও অনেক বাঁধ খাড়া থাকায় সহজেই ভেঙে যায়।’
পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, ‘বাঁধের গোড়া থেকে ৩২ ফুট দূর থেকে মাটি কাটার কথা। কোথাও এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কোন ঠিকাদার বা পিআইসি নিয়ম লঙ্ঘন করে কাছ থেকে মাটি কাটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাঁধের মাটি ড্রেসিং না করলে বিল কর্তন করে রাখা হবে।’